কলকাতা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিজেপির বিজয় সংকল্প সভায় অভিযোগ করেন যে, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যদি কেন্দ্রকে সীমান্ত রক্ষায় প্রয়োজনীয় জমি না দেয়, তবে অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে না।
অমিত শাহ আরও বলেন, "বাংলার নির্বাচন শুধু বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে না, এটি দেশের নিরাপত্তার সাথেও সম্পর্কিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দেশের সীমান্ত বাংলাদেশিদের জন্য খুলে দিয়েছেন। তার আশীর্বাদেই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। দিদি কি এটা থামাতে পারবেন? তার ভাগ্নে কি তা রোধ করতে পারবেন? কেবল তৃণমূল সরকারের পরিবর্তনই অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারে।"
তিনি আরও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, "তৃণমূলের সাংসদরা আমাকে সংসদে জিজ্ঞাসা করছিলেন বিএসএফ কী করছে? আমি বলেছি, মমতা দিদি, আপনার কাছে আমরা জমি চাইছি, পুরো জমি দিন। বন্যার পরও একটি সুচও গলে যাবে না। কিন্তু আপনি জেনেশুনে জমি দিচ্ছেন না, যাতে অনুপ্রবেশ চলতেই থাকে এবং আপনার ভোটব্যাঙ্ক বাড়ে। আর তারপর আপনার ভাগ্নে আপনার পরে মুখ্যমন্ত্রী হবেন — আমি সেটা হতে দেব না।"
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিরোধ অনেক দিন ধরেই তীব্র। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অভিযোগ, তৃণমূল সরকার সহায়তা করায় সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বেড়েছে। অপরদিকে তৃণমূল দাবি করছে, সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের এবং অনুপ্রবেশ ঘটলে কেন্দ্রকে দায়ী করা উচিত।
এর আগে কোচবিহার সীমান্ত থেকে বিএসএফ একটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে, যিনি মুর্শিদাবাদের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ইমাম ভাতা পেতেন। বিভিন্ন স্থানে ধরা পড়া বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের হাতে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি সরকারি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। বিজেপি দাবি করছে, এই সব কার্যকলাপে রাজ্যের শাসক দলের সহযোগিতা না থাকলে এটি সম্ভব হত না।