Select language to read news in your own language

আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা: উচ্চ তাপ ও ধোঁয়ায় আটকে পড়ে উদ্ধার, জ্বলন্ত ড্রিমলাইনারের ধ্বংসস্তূপে দমবন্ধ মৃত্যু বহুজনের


গুজরাটের আহমেদাবাদে বইং ৭৮৭‑৮ ড্রিমলাইনার বিমান দুর্ঘটনা ঘিরে জাতীয় স্তরে শোকের ছায়া। তবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রকৃত পরিণতি আরও করুণ হয়ে ওঠে যখন জানা যায়—দুর্ঘটনার পরে সময়মতো উদ্ধারকাজ শুরু করাই সম্ভব হয়নি, কারণ জ্বলন্ত ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপ এবং বিষাক্ত ধোঁয়া আটকে দিয়েছিল উদ্ধারকর্মীদের পথ।

ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো কাঠামোর মধ্যে। ইঞ্জিন থেকে বেরোনো তাপমাত্রা এতটাই চরম ছিল যে আগুনের কাছে পৌঁছানোই যায়নি প্রথম ২০ মিনিটে। এই সময়ে বিমানের ভেতরে আটকে থাকা বহু যাত্রীর দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা। নিখোঁজদের তালিকাও ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।

উদ্ধার কাজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF) জানিয়েছে, প্রায় ৯৫ জন কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে এবং তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মীরা ও কিন্ডলি এলাকার স্বেচ্ছাসেবক দল। কিন্তু চরম তাপ এবং দৃশ্যমানতার অভাবে প্রাথমিক কয়েক ঘণ্টা কার্যত উদ্ধার প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক NDRF অফিসার জানান, “ধোঁয়ায় চোখ খুলে রাখা অসম্ভব ছিল। তাপমাত্রা এতটাই ছিল যে, দমকলের অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়নি। শুধুমাত্র প্রতিরোধমূলক পরিকাঠামো কাজে লাগিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় মন দিতে হয়।”

এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে ৭১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় ৪৬ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রশাসনের আশঙ্কা, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেক দেহ আটকে থাকতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিমানের ঝাঁকুনি, নিচে পড়ার সময়ের গর্জন, এরপর একগুচ্ছ বিস্ফোরণ এবং ঘন ধোঁয়ায় চারপাশ ঢেকে যাওয়া—সব মিলিয়ে রীতিমতো ভূমিকম্পের মতো অনুভূতি হয়েছিল।

দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি বিমান চলাচল দফতর। যদিও প্রযুক্তিগত ত্রুটি, ফ্ল্যাপ কনফিগারেশন ভুল অথবা পাইলট সংক্রান্ত বিভ্রান্তি—সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon



Tags: