Select language to read news in your own language

নিরাপত্তার মিথ ভেঙে চুরমার! আহমেদাবাদে বিধ্বংসী ভাঙনে বইং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, বহু মৃত্যু


বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ বলে বিবেচিত যাত্রীবাহী বিমান বইং ৭৮৭‑৮ ড্রিমলাইনার ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হল আজ সকালে, ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে। বিমানটি বিধ্বস্ত হয় শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি মেডিকেল হোস্টেলের উপর, ঘটনায় বহু মৃত্যু ও গুরুতর আহতের আশঙ্কা।

এই বিমানটি ২০১১ সালে প্রথমবার পরিষেবা শুরু করে এবং তখন থেকেই এটিকে ‘সুপারসিকিউরিটি এয়ারক্রাফট’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। কিন্তু আজকের এই দুর্ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিল এর নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত নির্ভরতার উপরে। বিশ্লেষকদের মতে, বইং ৭৮৭‑৮ সিরিজের বিমানের ক্ষেত্রে এটিই প্রথম বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, বিমানটিতে মোট ২৪২ জন যাত্রী ও কর্মী ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থলেই বহুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্ট, এবং আরও অনেকে গুরুতরভাবে আহত। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এ পর্যন্ত মাত্র একজন যাত্রী জীবিত উদ্ধার হয়েছেন—একজন ব্রিটিশ‑ভারতীয় নাগরিক, যিনি বিমানের জরুরি নির্গমন দরজার কাছেই বসে ছিলেন।

বিমানটি যে হোস্টেল ভবনে পড়ে, সেটি একটি সরকারি মেডিকেল কলেজের আবাসন। সেখানে থাকা কমপক্ষে ৫ জন ছাত্র নিহত হন বলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমান। ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধারকার্য চলছে। উপস্থিত রয়েছে এনডিআরএফ এবং ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট।

বিমানটির দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে ডিজিসিএ, ভারতের এভিয়েশন তদন্ত ব্যুরো (AAIB), এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় যুক্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিমান তদন্ত সংস্থাও। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা অথবা ফ্ল্যাপ কনফিগারেশন সংক্রান্ত ত্রুটি এই বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিশ্ব নেতারা। বিমানটির ইতিহাস, মডেল, ও দুর্ঘটনার ধরণ ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিমান চলাচল মহলে।

এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্তের পরই চূড়ান্ত কারণ জানা যাবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

এই দুর্ঘটনা যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিল—প্রযুক্তির উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা সবসময় নিরাপদ নাও হতে পারে।

ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon



Tags: