সোমনাথ চৌধুরী
অভয়া কান্ডে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে ডাক্তাররা দিয়েছিলেন শিরদাঁড়া অর্থাৎ মেরুদন্ড এবার পুলিশ কে লক্ষ্য করে সুকান্ত মজুমদার ছুড়লেন নীল ফিতা বিশিষ্ট সাদা হাওয়াই চটি ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ,বৃহস্পতিবার মহেশতলায় যাওয়ার চেষ্টা করলে জিঞ্জিরাবাজারে সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে রবীন্দ্রনগর এলাকায়। যেকোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সেখানে পৌঁছতে দিচ্ছে না কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকেই।
এরপরেই পুলিশি বাধা পেয়ে সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যেতে গেলে, কালীঘাট ঢোকার মুখেই পুলিশ গ্রেফতার করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির অন্য নেতা-কর্মীদের।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে গাড়িতে ওঠার সময়, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এক জোড়া চটির প্রতিকী ছুঁড়ে মারে ডিউটিরত পুলিশ আধিকারিকের দিকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন আচরণে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের দিকে তিনি হাওয়াই চটি ছুঁড়ে কিসের ইঙ্গিত দিলেন? এদিকে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির নেতারা এতোদিন ধরে বলে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর হাওয়াই চটি নাকি চেটে পরিস্কার করে রাখে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা, সেই কারণেই হয়তো পুলিশের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছুঁড়ে দিলেন হাওয়াই চটির প্রতিকী এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ।
প্রসঙ্গত, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবীন্দ্রনগর ও নাদিয়াল থানা এলাকায় বুধবারের অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট ৭টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
পাশাপাশ,সুকান্ত মজুমদারের এমন আচরণের নিন্দা করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয় । সেখানে লেখা হয়, 'বিজেপির ঘৃণার কোন সীমা নেই, এমনকি যখন এটি একটি গোটা সম্প্রদায়কে উপহাস করার বিষয় আসে তখনও নয়। প্রথমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একজন পাগড়ি পরা পুলিশ অফিসারকে "খালিস্তানি" বলে আখ্যা দেন। এবার, তাঁদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একজন কর্তব্যরত অফিসারের পাগড়িতে চটি ছুঁড়ে মারেন। এটি প্রতিটি শিখ, প্রতিটি উর্দিধারী অফিসার, মর্যাদা ও শালীনতায় বিশ্বাসী প্রতিটি ভারতীয়ের অপমান। ক্ষমতার নেশায় মত্ত, অহংকারে অন্ধ এবং ঘৃণায় উজ্জীবিত বিজেপি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। বিজেপি এটাই। তাদের কাছে মানবিকতা, মূল্যবোধের কোনও গুরুত্ব নেই। তাঁরা শুধুমাত্রই সহিংসতায় বিশ্বাসী।