আমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। ৩০ সেকেন্ডেই আকাশ থেকে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইটটি কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ। দুর্ঘটনায় শুধু গুজরাট নয়, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক পরিবারও শোকস্তব্ধ। সূত্রের খবর, কলকাতা, বর্ধমান, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুর থেকে অন্তত ১১ জন যাত্রী ছিলেন ওই বিমানে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ব্যবসার কাজে গিয়েছিলেন গুজরাটে, কেউ আবার চিকিৎসার জন্য।
গুজরাটের এক বাসিন্দা বলেন, “বিমানটি আকাশে ওঠার কিছুক্ষণ পরই বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে। গোটা শহর যেন কেঁপে ওঠে। এখনও আতঙ্কে আছি।” এক উদ্ধারকারী আধিকারিক জানান, “যাত্রীদের অনেকেই ভয়াবহ দগ্ধ অবস্থায় ছিলেন। ঘটনাস্থল ছিল বিভীষিকাময়।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক টুইটে জানান, “আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় বাংলার মানুষও শোকস্তব্ধ। যাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি গভীর সমবেদনা। প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হবে।” একইভাবে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল বলেন, “এই শোকের সময়ে আমরা একসঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তে রাজ্য সহযোগিতা করছে।”
প্রাণে বেঁচে ফেরা এক কলকাতার যাত্রী বলেন, “শেষ মুহূর্তে মনে হয়েছিল, আর বুঝি বাঁচবো না। আমার সামনেই একজন যাত্রী সিট থেকে ছিটকে যান।” বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারের কাজ চলছে। DGCA, NTSB ও AAIB-এর যৌথ তদন্তে উঠে আসবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ—এমনটাই আশ্বাস প্রশাসনের।
এই ভয়ানক দুর্ঘটনার পর বাংলার বহু পরিবার এখনও প্রিয়জনের খোঁজে ব্যস্ত। গুজরাটবাসী যেমন চমকে গিয়েছেন দুর্ঘটনার ভয়াবহতায়, তেমনই বাংলার মানুষও গভীর উদ্বেগে কাটাচ্ছেন প্রতিটি মুহূর্ত।