সোমনাথ চৌধুরী
আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার (ভিটি-এএনবি) উড়ানের কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়। বিমানে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ,৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন।
বিমান দূর্ঘটনার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, জ্বালানি পোড়ানোর তাপমাত্রা এত বেশি ছিল যে কাউকে বাঁচানোর কোনও সুযোগই ছিল না। বৃহস্পতিবার বিকেলে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটি টেক অফের কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন - যার মধ্যে দুজন পাইলট এবং ১০ জন কেবিন ক্রু সদস্যও ছিলেন। যাত্রীদের বেশিরভাগই ভারতীয় ছিলেন, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান ছিলেন। ২৪১ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, একজন অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। শাহ আরও বলেন, নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ (DNA) পরীক্ষা করা হচ্ছে।
জানিয়ে রাখি, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন আংশিকভাবে চালু। গুরুতরভাবে দগ্ধ, অজ্ঞাত মৃতদেহগুলি সিভিল হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে রাখা হয়েছে । মেঘানীনগরের বিজে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে কমপক্ষে ২০ জন মেডিকেল ছাত্র আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এয়ার ইন্ডিয়া দিল্লি এবং মুম্বাই থেকে ত্রাণ সামগ্রীতে পূর্ণ দুটি বিমান পাঠাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার এবং কর্মীদের জন্য। আরও তথ্য প্রদানের জন্য এয়ার ইন্ডিয়া নিবেদিতপ্রাণ যাত্রী হটলাইন নম্বর, 1800 5691 444ও স্থাপন করেছে। টাটা গ্রুপ প্রাণ হারানো প্রতিটি ব্যক্তির পরিবারকে ১ কোটি করে টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।