সম্প্রতি বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বীরভূম জেলা পুলিশ অনুব্রতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করে। ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস অনুব্রত মণ্ডলকে চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে নির্দেশ দেয়। দলের নির্দেশ অনুযায়ী, অনুব্রত একটি চিঠিতে দুঃখ প্রকাশ করে লেখেন, "আমি নানা রকম ওষুধ খাই। দিদির পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে মাথা গরম হয়ে যায়। সত্যি আমি দুঃখিত।" তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে তাঁর এবং আইসির কথোপকথনের অডিও ফাঁস হলো।
এদিকে, অনুব্রতের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী দাবি করেন, ভাইরাল হওয়া অডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি এবং এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তবে এই দাবির সত্যতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে অনুব্রতের পূর্ববর্তী ক্ষমা চাওয়ার প্রেক্ষিতে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্ষমা চাওয়ার পর এমন একটি দাবি রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
এই পরিস্থিতিতে, অনুব্রতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীর এআই ষড়যন্ত্রের দাবি রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতি জনসাধারণের আস্থার প্রশ্নে নতুন আলো ফেলেছে।