সোমনাথ চৌধুরী
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান,বর্ষা চলে আসায় হয়তো কাজের কিছু সমস্যা হচ্ছে। দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার জন্য সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব। সেচ দপ্তরের বালুরঘাট ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের দাবি, ৯৯ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে, ৫০ মিটারের মতো বাকি আছে। বাসিন্দাদের কাছ থেকে কিছু জায়গা পেলেই আবার কাজ শুরু হবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের উপস্থিতিতে ১ কোটি ২৩ লক্ষ ব্যায়ে বাঁধ নির্মাণের কাজের শিলান্যাস হয়েছিল । উক্ত শিলান্যাসে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক বিজেন কৃষ্ণাও। দেড় মাসের কাজ শেষ হয়নি তিন মাসেও । জমি সমস্যায় ধুঁকছে খাঁড়িতে বাঁধ নির্মাণের কাজ।
উল্লেখ্য,২০১৭ সালে বালুরঘাটে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে গোপালন কলোনির একাধিক বাড়িতে খাঁড়ির জল ঢুকে গিয়েছিল, সাথে তলিয়ে যায় প্রচুর বাড়ি। এলাকাবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন খাঁড়ি সংলগ্ন কলোনির পাশ দিয়ে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের । ওই দাবিকে গুরুত্ব দিয়েই ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বালুরঘাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে গোপাল কলোনিতে খাঁড়িতে বাঁধ নির্মাণের কাজের শুভ সূচনা হয়।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে প্রায় ১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকায় বাঁধ তৈরির কাজ চলছিল গোপালন কলোনিতে। সেই নির্মীয়মাণ আত্রেয়ী খাঁড়ির বাঁধ প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতেই ডুবলো, যথারীতি বন্ধ কাজ। বর্ষা শুরুর মুখেই খাঁড়ির পশ্চিম পাড়বরাবর বাঁধ তৈরির এমন পরিস্থিতি হলে, বর্ষার ভারী বর্ষণে কী হবে! আশঙ্কায় এলাকাবাসী। যদিও বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র সেচ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন । বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও জমি সমস্যাকে সামনে আনছে সেচ দপ্তর।
জানিয়ে রাখি, দেড় মাসের কাজ শেষ হয়নি তিন মাসেও, ফলস্বরূপ প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতেই খাঁড়িতে জল বেড়ে বাঁধের অনেকটা অংশ ডুবে গিয়েছে। মূলত হাই ডেনসিটি পলি-ইথিলিন ব্যাগ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ চলছে। পাশাপাশি বোল্ডার পাইলিং করা হচ্ছে, কিন্তু থমকে গিয়েছে সেই কাজ। আত্রেয়ীর জল বাড়লেই রাতের ঘুম উড়ে যায় গোপালন কলোনির বাসিন্দাদের । কেননা, পাশ দিয়েই প্রবাহিত আত্রেয়ী খাঁড়ি। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেই খাঁড়ির জল বেড়ে যায়। তাতেই কলোনির একাধিক বাড়িতে জল ঢোকায় ভেঙে পড়ে বাড়ি , অনেকেই হয়ে পড়েন ঘরছাড়া । পাশাপাশি,বাসিন্দাদের খাঁড়ির পাড়ভাঙনে আশ্রয়হীন হতে হয় ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান , 'কিছুদিন আগে অনেক জল বেড়ে গিয়েছিল। জল বাড়লে বা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে ড্রেন ও মাঠের মধ্যে দিয়ে জল বাড়িতে ঢুকে পরে, দ্রুত কাজ শেষ করা হোক হোক এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।