Select language to read news in your own language

চকলেট চিপ ডে: ছোট্ট এক টুকরো মিষ্টি সুখের উৎসব


 

যোগমায়া আচার্য

 

১৫ই মে প্রতি বছর পালিত হয় ন্যাশনাল চকলেট চিপ ডে, এক দিবস যেখানে ছোট্ট ছোট্ট চকলেটের টুকরোর অসীম মাধুর্যকে উদ্‌যাপন করা হয়। চকলেট চিপ শুধু একটি উপকরণ নয়, বরং বহু মানুষের শৈশব স্মৃতির অংশ, বেকিংয়ের আনন্দের উৎস এবং মন খারাপের দিনে হাসি ফিরিয়ে আনার গোপন সঙ্গী।

চকলেট চিপের ইতিহাস

চকলেট চিপের যাত্রা শুরু হয় ১৯৩৮ সালে, আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের টোল হাউস ইন-এ। রুথ ওয়েকফিল্ড নামক এক প্রতিভাবান বেকার একটি নতুন কুকি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ভেবেছিলেন যে চকলেট গলবে এবং পুরো কুকির সঙ্গে মিশে যাবে, কিন্তু চকলেট গলে না গিয়ে ছোট ছোট টুকরো হিসেবেই থেকে যায়। সেখান থেকেই জন্ম নেয় আজকের বিখ্যাত "চকলেট চিপ কুকি"। পরে ১৯৪০ সালে নেসলে সংস্থা রুথের সঙ্গে একটি চুক্তি করে, এবং সেই থেকে চকলেট চিপ বানিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হতে শুরু করে।

বাংলার মিষ্টি সংস্কৃতিতে চকলেট চিপ

বাংলার ঐতিহ্যিক মিষ্টি যেমন সন্দেশ, রসগোল্লা, চমচমের মাঝে এখন জায়গা করে নিচ্ছে নতুন যুগের ফিউশন ডেজার্ট। বহু বেকারিতে দেখা যাচ্ছে চকলেট চিপ সন্দেশ, চকলেট চিপ খির, এমনকি চকলেট চিপ রসগোল্লা—যা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এটি শুধুই আধুনিকতার ছোঁয়া নয়, বরং ঐতিহ্যের সঙ্গে গ্লোবাল ট্রেন্ডের মেলবন্ধন।

শুধু স্বাদের নয়, আবেগের প্রতীক

চকলেট চিপ কুকির একটি কামড় মানেই যেন শৈশবের সেই বিকেলবেলার খেলার পর ঘরে ফেরা, দাদির হাতে বানানো কুকির ঘ্রাণ, অথবা প্রিয়জনের দেওয়া চমক। প্রেমের বহিঃপ্রকাশ থেকে শুরু করে বন্ধুত্বের বন্ধন—একটি ছোট্ট কুকিও অনেক কিছু বলতে পারে।

ঘরোয়া রান্নায় চকলেট চিপ

আজকের দিনে মানুষ নিজেদের ঘরে বসেই নানা রকম চকলেট চিপ মিষ্টি বানিয়ে দিনটিকে বিশেষ করে তোলে। কেক, ব্রাউনি, মাফিন, কুকি তো আছেই, তার সঙ্গে চকলেট চিপ যুক্ত করে নতুন সব রেসিপিও আবিষ্কার হচ্ছে। এমনকি ছোটরাও আজকাল মা-বাবার সঙ্গে মিলেই মজার সব ডেজার্ট বানিয়ে নিচ্ছে।

শেষ কথা

চকলেট চিপ নিছকই একটি উপকরণ নয়, এটি একটি অনুভব। National Chocolate Chip Day আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সুখ সবসময় বড় কিছুতে লুকিয়ে থাকে না, বরং অনেক সময় তা একটি ছোট্ট চকলেটের টুকরোতেও খুঁজে পাওয়া যায়।

তাই আজকের দিনে চলুন, চায়ের সঙ্গে একটি চকলেট চিপ কুকি খেয়ে স্মৃতির পাতা উল্টে দেখা যাক—কখন শেষবার এই ছোট্ট টুকরোটা আমাদের মুখে হাসি এনেছিল!

 

ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon