সোমনাথ চৌধুরী
যদিও বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মমতা ব্যানার্জি যা বলেন তাই করেন। আগের বার কাগজে সমস্যা ছিল, এবার তা সমাধান হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর একই প্রকল্পের জন্য দু-দুবার করে অনুদান ঘোষনা! অথচ একবারও নাকি আসল জায়গায় পৌঁছায়নি সেই টাকা । এমনই দাবিতে এখন জোর জল্পনা শুরু রাজ্য রাজনীতিতে । মুখ্যমন্ত্রী দুবার অর্থ ঘোষণা করেন বানারহাট শীতলা মন্দিরের অতিথিশালা তৈরির জন্য । এদিকে উদ্যোক্তাদের দাবি, তাঁরা নাকি টাকা হাতেই পাননি এখনও । খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিরোধীরা কটাক্ষ শুরু করেছেন, ধর্মের রাজনীতি করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি(Mamata Banerjee) বিভিন্ন সভা থেকে এমন ঘোষণা করে থাকেন, আসলে সবটাই ভাঁওতা।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার উক্ত জেলাগুলিকে নিয়ে বানারহাটে একটি প্রশাসনিক সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।সেই সভা থেকেই শীতলা মন্দিরের কমিটির লিখিত আবেদনে সাড়া দিয়ে অতিথিশালা নির্মাণের জন্য ১ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এদিকে মন্দির কমিটির দাবি, দু বছরের বেশি সময় হয়ে যাওয়ার পরেও নাকি সেই টাকা হাতে পাননি তাঁরা।
এর মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সম্প্রতি আবারো উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বানারহাট শীতলা মন্দিরের জন্য ১ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন । তারপরেই শুরু হয়ে যার বিতর্ক, একই প্রকল্পে দুবার করে অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা। অথচ উদ্যোক্তারা এখনো হাতে পাননি প্রথম বারের টাকাই ! দ্বিতীয় বার বরাদ্দ অর্থের কি কোনো সুরাহা হবে?
যদিও টাকা পাওয়া নিয়ে এখনো আশা করে রয়েছেন মন্দির কমিটি । এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দু বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছিলেন, এখনো পর্যন্ত মন্দির কমিটি সেই টাকা পায়নি। আবারও টাকার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, কিন্তু সে টাকা আদৌ মিলবে কিনা তা মা শীতলাই জানেন!
অপরদিকে মন্দির কমিটির সম্পাদক জানান , মুখ্যমন্ত্রী আগেরবার ১ কোটি টাকা ঘোষণা করেছিলেন। টাকা পাওয়া যায়নি সে সময় । হয়তো এবারে মিলবে।