সীমাহীন ক্ষমতা ও ভোগবাদে বশীভূত রাষ্ট্র যেমন বিপ্লব ভয়ে ভীত হয়ে জনগণকে মুল সত্য কোনোভাবেই বুঝতে দেয়না। তেমনি, সময়োপযোগী জ্ঞান ও কর্ম কুশলতার অভাবে নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে রাজনীতিতে অস্থিরতা, বিভ্রান্তি ও বিপথগামী করার স্বৈরাচারী প্রক্রিয়া চলে। সত্যকে আড়াল করা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রশ্নে রাষ্ট্র ও রাজনীতির এই দুইয়ের ধূর্তামিতে অগণিত কর্মঠ, দায়িত্ববান মানুষ তথা মেহনতি নাগরিকরাও হয়ে পড়েন উগ্র, নৈরাজ্যবাদী, হতাশাগ্রস্ত কিম্বা পাগল। আবার এই নৌরাজ্যবাদ, হতাশা ও পাগলামির মধ্যেও একদল মানুষ পুরো সমাজের বোঝা বয়ে বেড়ান সেই সমাজ সৃষ্টির সময় থেকেই। শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁদের উপস্থিত বুদ্ধি, একাগ্রতা, ধৈর্য্য, সহনশীলতা, দরদবোধ, দায়িত্বজ্ঞান আজও সমাজকে দাঁড় করিয়ে রেখেছে যা পাঠ্যপুস্তকে পাওয়া যায় না। এখনো শ্রুতি কথার স্তরেই থেকে গেছে।
আধুনিক সমাজ প্রণেতা বা রাষ্ট্র নায়ক যাঁরা যথার্থই সমাজের ভালো চান তাঁদের কাজ হলো সব মানুষের গুনকে কিম্বা সকল গুনী দায়িত্বশীল মানুষের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম দায়িত্বজ্ঞানগুলোকে খুব স্বাভাবিক ভাবে ছাত্রছাত্রী , অবিভাবক, পলিটিক্যাল ম্যানেজার ও পলিটিক্যাল ওয়ার্কারদের সামনে উপস্থিত করা ও সাথে সাথে রাজনৈতিক ধূর্তামি থেকে নিজেদের মুক্ত করা। এই কাজটি করতে পারলেই ওঁরা অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ মেহনতি মানুষও যাঁদের আমরা পিছিয়ে পড়া বা আধুনিক ভাষায় ব্যাক ডেটেড মানুষ বলি তাঁরা সমাজে তাঁদের প্রয়োজনীয়তা ও অবদান বুঝতে পেরে সমাজকে নির্দ্ধিধায় ও নিঃশর্তে আরো আরো দিতে এগিয়ে আসতে পারে। খানিকটা মর্যাদা ও আনন্দানুভূতির জগৎও এই পথে আমরা দেখতে পাবো।

