সাতসকাল নিউজ :
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রেম করে দুই মহিলার মধ্যে বিয়ের বাস্তব ঘটনা , যা সামাজিক মাধ্যমে প্রায়ই আলোচিত হয়। এই ধরনের ঘটনা সাধারণত এমন দুই ব্যক্তির মধ্যে ঘটে, যারা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং পরবর্তীতে তারা বিবাহিত জীবন শুরু করে। এই সম্পর্কগুলো প্রায়ই একে অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।
সেরকমই এক ছবি ধরা পড়ল দুবরাজপুরে। সামাজিক মাধ্যমে বীরভূম জেলার খয়রাশোলের সুস্মিতা চ্যাটার্জী নামে এক মহিলার প্রেমের টানে সুদূর মালদা থেকে ছুটে এলেন অন্য এক মহিলা নমিতা দাস। সাত দিন আগে স্থানীয় এক শিব মন্দিরে নমিতা দাস সুস্মিতা চ্যাটার্জির সিঁথিতে সিঁদুর দান করে বৈবাহিক জীবনে প্রবেশ করেন। নমিতা দাসের বয়স ৩১ বছর এবং সুস্মিতা চ্যাটার্জির বয়স ২৮ বছর। উল্লেখ্য, নমিতা দাসের কয়েক বছর আগে ডিভোর্স হয়েছে এবং তাঁর চার বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
অন্যদিকে সুস্মিতা চ্যাটার্জির ৮ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনিও তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। তবে তার কন্যা বাবার কাছেই থাকবে বলে জানিয়েছেন। নমিতা দাস জানান, গত তিন বছর আগে ইনস্টাগ্রামে আমাদের পরিচয় হয়। সেখান থেকেই প্রেম শুরু হয়। তবে দু বছর আগে থেকে আমরা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। তখন থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিই আমরা দুজনে একে অপরকে বিয়ে করবো। আমরা সমস্ত কাগজপত্র ঠিক করে আদালতে বিয়ে করতে এসেছি। আমার বাড়িতে কেউ নেই বাবা-মা মারা গেছে। তবে সুস্মিতা চ্যাটার্জির বাবা মা আমাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন।
নমিতা দাস আরো জানান, আমার বাড়ি মালদা জেলার ইংলিশ বাজার এলাকায় হলেও আমি কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকি। এবং সুস্মিতার বাড়ি বীরভূম জেলার খয়রাশোলে। আমরা দুজনেই আজকে বিয়ে করে কলকাতায় ফিরে যাব। এই দুই মহিলার বিয়ের খবর শুনে এবং তাদের দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন।