রাজনীতির ময়দানে ফের বিতর্কের আগুন জ্বালালেন বিজেপির নেতা ও বরাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। সম্প্রতি তিনি পশ্চিমবঙ্গের যুবসমাজকে আহ্বান জানিয়েছেন “নেপাল মডেল” অনুসরণ করে অনিয়ম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নামতে। তাঁর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।
তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে জানিয়েছে, এটি গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য বিপজ্জনক ও ফ্যাসিস্ট মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। দলটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা—বাংলার মাটি আন্দোলনের, কিন্তু তা অহিংস প্রতিরোধ ও সাংবিধানিক পথেই হওয়া উচিত, অস্ত্রের ভাষায় নয়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি সমাজে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে এবং যুবকদের বিপথে চালিত করছে।
অর্জুন সিংয়ের এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধীরা বলছে, এর মাধ্যমে রাজনীতির পরিসরকে কলুষিত করা হচ্ছে, আর সমর্থকরা দাবি করছেন এটি জনগণের ‘ক্ষোভের প্রতিফলন’। তবে সাধারণ মানুষের একাংশের আশঙ্কা—এভাবে হিংসার ডাক বাড়লে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে এবং রাজনৈতিক সংঘাত আরও ঘনীভূত হবে।
এই ঘটনাই প্রমাণ করে, নির্বাচনের আগে বাংলার রাজনীতি আরও উগ্র ও সংঘাতমুখী আকার নিতে চলেছে। এখন নজর থাকবে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব কীভাবে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনে তার দিকে।

