হাসান লস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
গভীর সমুদ্রের মাঝখানে মৎস্যজীবীদের ট্রলার যাতে সুরক্ষিত থাকে তার জন্য বসানো হলো এক্সপন্ডার মেশিন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া কুলতলী ব্লকের এই সানকি জাহান গ্রাম। যেখানকার ১০০ শতাংশ মানুষ মৎস্যজীবী। তৎকালীন বাংলাদেশ থেকে আগত এই সমস্ত মানুষজনদের মূলত জীবিকা স্থানীয় নদীতে কাঁকড়া ও গভীর সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করা। তৎকালীন বাম সরকারের সহযোগিতায় এই সমস্ত মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম-গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ব্যবস্থার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম প্রদান করেছিল,যার ফলে এই সমস্ত পরিবার অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা আসে। আগের দিনের তুলনায় এই মুহূর্তে গভীর সমুদ্রে দিনের পর দিন কমেছে মাছের পরিমাণ, বারেবারে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে গেলেও ঠিকমতো পাচ্ছেনা মাছ। তার ফল স্বরূপ এই পেশা থেকেই পিছু হটতে হচ্ছে তাদের। অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে কেউবা পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে কাজ করছে, ব্যবসা-বাণিজ্য কল কারখানায় কাজ করছে অনেক পরিবার। মানদাতার আমলের পেষায় যারা টিকিয়ে রেখেছেন তাদের জন্য কুলতলী বিধানসভার বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডলের সহযোগিতায় ডায়মন্ড হারবার এ ডি এফ মেরিন দপ্তরের তত্ত্বাবধানে কুলতলির মৎস্যজীবী সংগঠন দেউলবাড়ী সাউথ সুন্দরবন মৎস্যজীবী কল্যাণ সমিতির ব্যবস্থাপনায় ১৫ টি ট্রলার তার মধ্যে হরপার্বতী মা সরস্বতী নামক ট্রলারে এক্সপান্ডার মেশিন স্থাপন করে। যার ফলে উক্ত মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে প্রতিকূল আবহাওয়া, বিপদ সংকেত, জলের গভীরতা, উপরেট্রলার মালিকদের সাথে কিম্বা বাড়ীর লোকেদের সাথে যোগাযোগ, মাছের বিচরণ ক্ষেত্র ,বর্ডার সিগন্যাল, সমস্ত কিছু পরিষেবার এই মেশিন থেকে পাবেন তারা। এর ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে এই সমস্ত মৎস্যজীবীরা নিরাপদ থাকতে পারবে। শানকিজাহানের হর পার্বতী নামক ট্রলারের মালিক ধলু দাস ও মা সরস্বতী ট্রলারের মালিক দিবাকর দাসের কথায় আমরা এবার থেকে অনেকটা সুরক্ষিত আমরা আশা করতে পারিনি এভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করা হবে। এ বিষয়ে কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি ভূপাল মণ্ডলের কথায় আমাদের এই সংগঠন সর্বদা মৎস্যজীবীদের কল্যাণে নিয়োজিত। আজ আমরা এই সমস্ত পরিবারের পাশে থাকতে পারছি। বিপদ সংকেতের সিগন্যাল জানালে তিরিশ সেকেন্ডের মধ্যে কমান্ডো বাহিনী লোকেশন ট্যাগ করে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে পারবে।

