ছন্দা আচার্য
বিশ্বরাজ্যে পুতুল হলো ভালোবাসা, স্মৃতি ও আবেগ প্রকাশের অনন্য বাহন। ছোট্ট সেই পুতুলগুলিতে মিশে থাকে আত্মীয়তা, বন্ধুত্ব ও স্বপ্নের স্পন্দন। ঠিক সেই আবেগকে উদ্যাপন করাই ওয়ার্ল্ড ডল ডে — যা প্রতি বছর জুন মাসের দ্বিতীয় শনিবার পালিত হয়।
ওয়ার্ল্ড ডল ডে শুধুই পুতুলগুলির উৎসব না — এর সাথে জড়িত রয়েছে অনেক সুন্দর স্মৃতি ও ঐতিহ্য। পুতুল ছোট হোক বা বড়, আধুনিক হোক বা ঐতিহ্যিবাহী, সবাই প্রকাশ করে ভালোবাসা, কল্যাণ ও ঐক্যের বার্তা। পুতুল হলো সেই ভাষাহীন দূত, যে কথা বলে আবেগে ও স্পর্শে — যা অনেক ক্ষেত্রে ভাষার বাইরে প্রকাশিত হয়।
বিশ্বর বিভিন্ন দেশে ওয়ার্ল্ড ডল ডে উদ্যাপন করার ধরনও আলাদা। অনেক জায়গায় পুতুল প্রদর্শনী, মেলা ও কর্মশালার আয়োজন হয়। শিশু ও বড়রা সবাই মিলে তাদের পুতুলগুলিকে বাইরে আনে, আলোকিত করে ঘর ও মঞ্চ। কারো কারো কাছে পুতুল হলো আত্মপ্রকাশের উপায়, কারো কাছে আবার আত্মবিশ্বাস ও স্বস্তির আশ্রয়। পুতুল মানে ভালোবাসার স্পর্শ — যে স্পর্শে দূর হয় একাকীত্ব ও মানসিক ক্লান্তিতে ঘাটতি।
ওয়ার্ল্ড ডল ডে উদ্যাপন করার পিছে রয়েছে অপরাজেয় ভালোবাসার ইতিহাস। পুতুল যে আবেগ প্রকাশ করে, তা ভাষায় প্রকাশিত হওয়া অনেক ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ থাকতে পারে। তাই পুতুল হয়ে যায় সেই অপরিবর্তনীয় বন্ধু, যে কারো সাথে বিশ্বাস ও ভালোবাসা বিনিময় করতে পারে অনায়াসে। পুতুল স্মরণ করিয়ে देता যে সবাই ভালোবাসা ও আশ্রয় পেতে পারে, সবাই কারো না কারো বিশেষজন — ঠিক যেমন পুতুলও বিশেষ ও অনন্য।