সোমনাথ চৌধুরী
দারিদ্রের হার
উল্লেখযোগ্য ভাবে কমছে ভারতে (India)। করোনা মতো অতিমারীর ধাক্কা সামলে
ভারত আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।সাম্প্রতিক বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে প্রকাশ
পেয়েছে, উল্লেখযোগ্য ভাবে বিগত এক দশকে দারিদ্রের হার কমেছে ভারতের
(India)।ভারত অর্থ ও সামাজিক উন্নয়নে বড় সাফল্য পেয়েছে। স্পষ্ট উন্নতির
পথে এগিয়েছে দেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায়।
বিশ্বব্যাঙ্কের
রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে , দেশে ২০১১-১২ সালে চরম দারিদ্রের হার ছিল ২৭.১
শতাংশ। তা অনেকটাই কমে দাঁড়িয়েছে ২০২২-২৩ সালে ৫.৩ শতাংশে।
বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে (India) ২০১১-১২ সালে ‘চরম দরিদ্র’
ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি মানুষ। তা ২০২২-২৩ সালে সাড়ে ৭ কোটিতে নেমে
এসে দাঁড়ায়। হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ২৬ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ বেরিয়ে এসেছেন
চরম দারিদ্রতা থেকে এই এক দশকে।
তাৎপর্যপূর্ণ
ভাবে, ভারতে (India) করোনার শুরুতে ২০২০ সালে প্রায় ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন
করে দারিদ্র সীমার নীচে চলে গিয়েছিলেন বলে প্রকাশ পেয়েছিল বিশ্ব
ব্যাঙ্কের রিপোর্টে। ২০২২ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের ‘পোভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড
প্রসপারিটি (Poverty and Shared Prosperity)’ শীর্ষক রিপোর্টে প্রকাশ
পেয়েছিল এমন তথ্য। কিন্তু সাম্প্রতিক বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টের
পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে কোরানার আঘাত সামলে উঠে উন্নয়নের পথে অনেকটা
এগিয়ে গিয়েছে ভারত।
উক্ত
রিপোর্ট থেকে আরও জানা গেছে ,নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দারিদ্রতা ২০১১-২৩ সালের
মধ্যে কমে এসেছে ৫৭.৭ শতাংশ থেকে ২৩.৯ শতাংশে। উল্লেখ্য, আগে দারিদ্রের
সংজ্ঞা নির্ধারণের জন্য দৈনিক ২.১৫ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় (India) মুদ্রায়
প্রায় ১৮৪ টাকা খরচের ক্ষমতা মেনে চলত বিশ্বব্যাঙ্ক।
সেই
সংজ্ঞায় বিশ্বব্যাঙ্ক ২০২১ সালে পরিবর্তন আনে। ক্ষমতা সীমা বাড়িয়ে তা ৩
ডলার অর্থাৎ প্রায় ২৫৭ টাকা করা হয়। কিন্তু তারপরেও যেভাবে ভারতে
(India) দারিদ্র হার কমেছে তাতে দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচিরই জয়জয়কার
হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জমানায় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।