নয়াদিল্লি / চেন্নাই: জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP) নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল তামিলনাড়ু সরকার। রাজ্য সরকারের দাবি, তারা NEP এবং তিন-ভাষার ফর্মুলার বিরোধিতা করায় কেন্দ্র ইচ্ছাকৃতভাবে তামিলনাড়ুর জন্য বরাদ্দ শিক্ষা সংক্রান্ত তহবিল আটকে দিয়েছে।
তামিলনাড়ু সরকার সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা পিটিশনে জানিয়েছে, "NEP কার্যকর না করায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির আর্থিক অধিকার লঙ্ঘন করছে, যা ভারতের সমবায়ী ফেডারেল কাঠামোর পরিপন্থী।"
তামিলনাড়ু দীর্ঘদিন ধরেই তিন-ভাষা নীতির বিরোধিতা করে আসছে। রাজ্যের মতে, তামিল ভাষা এবং ইংরেজি শিক্ষার জন্য যথেষ্ট, এবং তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন। এ নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি বরাবর ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে।
এই বিষয়ে এখনো কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে সরকারি সূত্রের দাবি, "NEP একটি জাতীয় শিক্ষার মান উন্নয়নের রূপরেখা, এবং এর বিরোধিতা করা মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুযোগ নষ্ট করা।"
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তামিল রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। DMK নেতৃত্বাধীন সরকার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অভিযোগ তুলেছে। মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্টালিন এক বিবৃতিতে বলেন, “এটা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রাজ্যস্বাধীনতায় সরাসরি হস্তক্ষেপ। আমরা আদালতের মাধ্যমে এর বিচার চাই।”
NEP নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত নতুন নয়, তবে অর্থ আটকে দেওয়ার অভিযোগ প্রথমবার সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। বিচারপতিরা এখন কী সিদ্ধান্ত নেন, তার দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশের শিক্ষা মহল।
এই মামলার রায় ভবিষ্যতে NEP বাস্তবায়ন এবং কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।