ইসলামাবাদ/নয়াদিল্লি: দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ফের আলোচনার কেন্দ্রে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে জানিয়েছেন, তাঁর দেশ ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে শর্তসাপেক্ষে। তিনি বলেছেন, “আমরা শান্তি চাই, ভারতের সঙ্গে আলোচনায় রাজি, কিন্তু সেই আলোচনায় কাশ্মীর ইস্যুকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।”
পাকিস্তান পাঞ্জাবের কামরা বিমানঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানকার অফিসার ও জওয়ানদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শরীফ এই মন্তব্য করেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘একমাত্র আন্তরিক আলোচনা ও সম্মানজনক সমঝোতার মাধ্যমেই উপমহাদেশে শান্তি সম্ভব।’’
এই প্রসঙ্গে ভারতের পক্ষ থেকে আগেই স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার বলেছেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে যদি আলোচনার টেবিলে বসতেই হয়, তবে তা হবে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) নিয়ে।”
ভারত সরকারের মতে, সীমান্তে বারবার পাকিস্তানের মদতে হওয়া সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে বড় বাধা। এক উচ্চপদস্থ সরকারি সূত্র বলেছে, “আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হলে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ দমন ও সীমান্তে স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে হবে।”
এই অবস্থান দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন মোড় আনতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণ আলোচনার পরিবেশ তৈরির পক্ষে বারবার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষত জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও একাধিকবার বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ নয়, শান্তিপূর্ণ আলোচনা হওয়া উচিত।
যেখানে পাকিস্তান কাশ্মীরকে আলোচনার মূল ইস্যু করতে চায়, সেখানে ভারত চাইছে সন্ত্রাসবাদ হঠানোর প্রতিশ্রুতি। দুই দেশের অবস্থানের এই বিরোধ এখন আলোচনার পথকে আরও জটিল করে তুলছে। তবে যদি উভয় পক্ষ কিছুটা নমনীয় হয়, তাহলে বহুদিন পর ভারত-পাক সম্পর্ক এক নতুন দিক পেতে পারে।