সোমনাথ চৌধুরী
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Recruitment Scam) চাকরিহারা শিক্ষক সহ শিক্ষাকর্মীদের একাংশ অবস্থানে বসেছেন বিকাশ ভবনের সামনে । গত বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় তাঁদের একটি কর্মসূচিকে ঘিরে। সেদিনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছিলেন । এবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh) সেই মামলাতেই একগুচ্ছ নির্দেশ দিলেন।
বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল, শুনানি চলাকালীন বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি জানায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, বিকাশ ভবনের আশেপাশে উক্ত ওই অঞ্চলে আরও একাধিক সরকারি দফতর আছে। চাকরিহারাদের বিক্ষোভের জন্য বিকাশ ভবন ছাড়াও ভিজিল্যান্স কমিশন, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল, এসবিআই (SBI) ব্যাঙ্কের কর্মীরা কাজ করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে দাবি করেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারাদের অবস্থানে রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) আপত্তি কেন, সেকথা জানতে চেয়ে রাজ্যকে লিখিত আবেদনের অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। গতকালের শুনানিতেই জানানো হয়, শুক্রবার এই নিয়ে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হবে, সেই মতো এদিন একগুচ্ছ নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
এদিন শুনানিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন, বিকাশ ভবনের উল্টোদিকে তথা সেন্ট্রাল পার্কের সামনে চাকরিহারারা অবস্থান করতে পারেন। ২০০ জন করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অবস্থান করতে পারবেন রোটেশনালি । পুলিশকে দিতে হবে ১০ জন আন্দোলনকারীর নাম ও নম্বর যাতে কোনও রকম দরকার হলে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
পাশাপাশি রাজ্য সরকার সহ পুরসভাকেও বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। রাজ্যকে অস্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি এবং পুরসভাকে আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্যে জল ও বায়ো টয়লেটের বন্দোবস্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের সুপ্রিম নির্দেশ আসার পর থেকেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষিকারা। এখনও তাঁদের একাংশের অবস্থান চলছে বিকাশ ভবনের সামনে, এবার সেই অবস্থান নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।