যোগমায়া আচার্য
প্রতি বছর ৩০ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় National Creativity Day, এক অনন্য দিন যা উৎসর্গ করা হয়েছে মানুষের সৃষ্টিশীল মনের শক্তিকে উদযাপন করার জন্য। লেখক, চিত্রশিল্পী, ডিজাইনার, সংগীতশিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা থেকে শুরু করে যেকোনো নতুন ধারণা তৈরি করা মানুষদের জন্য এই দিনটি এক সম্মানের দিন। তবে এই দিবসের তাৎপর্য শুধু পেশাদার শিল্পীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং প্রতিটি মানুষই কিছু না কিছু সৃষ্টি করে—কখনো কথায়, কখনো কাজে, আবার কখনো অনুভবে।
সৃষ্টিশীলতা মানেই নতুন কিছু ভাবা
সৃষ্টিশীলতা মানে শুধুমাত্র ক্যানভাসে রঙ তোলা নয়, বরং প্রতিদিনের জীবনে নতুনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতাই হলো সৃজনশীলতা। ছোট শিশুরা যখন কাগজে রঙ মাখিয়ে ছবি আঁকে, অথবা কেউ যখন রান্নায় নতুন স্বাদ আনেন, সেখানেও থাকে সৃজনশীলতার ছাপ।
এই বিশেষ দিনে আমরা মনে করি সেইসব মানুষদের কথা, যাঁরা গণ্ডির বাইরে চিন্তা করতে পছন্দ করেন এবং নতুন কিছু উপহার দেন সমাজকে—হোক তা প্রযুক্তিতে, শিল্পকলায়, বিজ্ঞানে কিংবা সাহিত্যচর্চায়।
কেন সৃজনশীলতা জরুরি?
বর্তমান দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে কেবল তথ্য জানা যথেষ্ট নয়। সেগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, নতুন কীভাবে তৈরি করা যায়—এই দক্ষতাই আজকের দুনিয়ার মূল চাবিকাঠি। সৃষ্টিশীলতা আমাদের শেখায়—
সমস্যা সমাধানের নতুন উপায়
আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা
আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক সুস্থতা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সৃজনশীলতা চর্চা করলে স্ট্রেস কমে, মানসিক চাপ হ্রাস পায় এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।
এই দিনে কীভাবে উদযাপন করবেন?
নিজের পছন্দের শিল্পে সময় দিন—আঁকুন, লিখুন, গান করুন, নাচুন
পরিবারের সঙ্গে একটি সৃজনশীল প্রজেক্ট করুন
স্কুল-কলেজে আয়োজন করুন পোস্টার প্রতিযোগিতা বা ছোট গল্প লেখা
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন আপনার তৈরি কিছু
সৃষ্টিশীল হোন, নিজের রঙে নিজেকে চিনুন
আজকের দিনে আমরা সবাই নিজেদের মনে করিয়ে দিতে পারি—"আমি শুধু ভোক্তা নই, আমি একজন স্রষ্টাও।" হোক না সেটা ছোট্ট একটি কবিতা, একটি ছবি বা একটি অভিনব আইডিয়া—তবুও সেটি সম্পূর্ণ আমার।
National Creativity Day তাই শুধু একটি দিবস নয়, বরং এটি একটি আহ্বান—নতুনভাবে ভাবার, নিজেকে খুঁজে পাওয়ার, এবং সমাজকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলার।
তাই চলুন, আজ আমরা আমাদের মনের রঙে নতুন এক সৃষ্টির স্বপ্ন আঁকি।
শুভ জাতীয় সৃজনশীলতা দিবস!