লন্ডনে অনুষ্ঠিত প্রথম পোস্ট-ব্রেক্সিট ইউকে-ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন একটি নতুন 'রিসেট' চুক্তি ঘোষণা করেছেন। এই চুক্তির লক্ষ্য ইউকে-ইইউ সম্পর্ক উন্নয়ন করা।
চুক্তির মূল দিকগুলো:
# খাদ্য রপ্তানি: স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি (SPS) চুক্তির অধীনে খাদ্য রপ্তানিতে চেক কমানো হবে, যা ইউকে অর্থনীতিতে £৯ বিলিয়ন যোগ করতে পারে।
# কার্বন নির্গমন বাণিজ্য: ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা ব্রিটিশ কোম্পানিগুলির জন্য £৮০০ মিলিয়ন কার্বন ট্যাক্স সাশ্রয় করতে পারে।
# যুব মবিলিটি: ইউরোপীয় যুবকদের জন্য যুক্তরাজ্যে সীমিত সময়ের জন্য বসবাস ও কাজের সুযোগ প্রদান করা হবে।
# মৎস্য অধিকার: ইইউকে ১২ বছরের জন্য ব্রিটিশ জলসীমায় মাছ ধরার অধিকার প্রদান করা হয়েছে, যা স্কটিশ মৎস্য শিল্পের মধ্যে সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।
# শিক্ষা ও বিনিময়: ইউকে পুনরায় ইরাসমাস+ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করছে।
এই চুক্তি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, শিক্ষা ও শক্তি খাত এবং ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। তবে, কনজারভেটিভ পার্টি ও স্কটিশ মৎস্য শিল্প এই চুক্তির সমালোচনা করেছে, এটি ব্রেক্সিট প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমার এই চুক্তিকে বাস্তববাদী ও অর্থনৈতিকভাবে প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছেন, যা কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, শক্তির খরচ হ্রাস এবং খাদ্য রপ্তানিতে বাধা কমাতে সহায়তা করবে।
