সোমনাথ চৌধুরী
কোনও পদে নেই আপাতত,সভায় ডাক পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এবার বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) শাহী সভাতেও ব্রাত্য ।অমিত শাহ কলকাতায় আসছেন শনিবার অর্থাৎ আজ। তাঁর একাধিক কর্মসূচী রয়েছে রবিবার পর্যন্ত। অমিত শাহ একেবারে দিলীপ ঘোষের বাড়ির সামনের হোটেলেই উঠবেন, এদিকে শাহের সাথে দেখা করার ডাকটুকু পর্যন্ত পাননি দিলীপ ঘোষ।
এদিন সকালে দিলীপ ঘোষ ইকো পার্কে হাঁটতে বেরোন। সেখানেই এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'বড় নেতারা না ডাকলে আমি যাই না। মান-সম্মান আছে বড় নেতাদের। তাঁরাই যায়, তারা যাদের ডাকেন। আমি প্রয়োজনে যাই।আমি নিজে সংগঠনের কাজ করি, আমার প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজনে ডাকে, বলেন কী করতে হবে, আমরা তা পালন করি মাত্র।
দিলীপ ঘোষ তাঁর বক্তব্যে আরও সংযোজন ঘটিয়ে বলেন , 'আগে যখন সভাপতি ছিলাম তখন গিয়েছিলাম, বর্তমানে অন্যরা দায়িত্বে আছেন। কার্যকর্তার বৈঠকে থাকব আমরা ।"তাকে প্রশ্ন করা হয় দিল্লির নেতৃত্বের সভায় না ডাকায় কী তার অভিমান হয়েছে? "অভিমানের কী আছে?নেতাদের পিছনে পিছনে ঘোরা বর্তমানের রাজনীতিতে একটা ট্রেন্ড। ১০০-২০০ দিন, সারাদিন দাঁড়িয়ে কারণে-অকারণে । দেখা করে না, কিছু না। এটা একটা কালচার হয়ে গিয়েছে, সবাই ভাবে এটাই হয়ত ঠিক।"
তিনি এও বলেন, 'আমাদের দলের একটা শৃঙ্খলা আছে। যে বৈঠকে-অনুষ্ঠানে যেতে বলা হয়, সেখানেই কর্মীরা যায়। নেতারা কোথায় থাকবেন, সেটা দল ঠিক করে দেয়। আমরা সেই মত মেনে চলি, ওটাকেই শৃঙ্খলা বলি।' যদিও এর আগে দিলীপ ঘোষ ভিন্ন কথা বলেছিলেন।
দু'দিন আগেই নরেন্দ্র মোদির আলিপুরদুয়ারের সভায় ডাক না পেয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'উত্তরবঙ্গে কর্মসূচি হচ্ছে, সেখানকার কর্মীরা থাকবেন। কলকাতায় যখন আসবেন, তখন আমরা থাকব। যারা পদাধিকারী রয়েছেন, তাদের প্রোটোকল থাকে, তাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হয়। তবে এবার কলকাতায় একেবারে ঘরের দুয়ারে অমিত শাহের সভাতেও ডাক পেলেন না দিলীপ ঘোষ। তাহলে কী আরও কোনঠাসা দিলীপ ঘোষ ২৬-র বিধানসভার ভোটের আগে ? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে!