মানবাধিকারের লড়াই মানুষের মুখে ভাষা যোগায়। সুপ্ত বিবেক, মনের যন্ত্রণাকে সঠিক ভাবে ব্যক্ত করতে শেখায়। তীব্র করে জনমত প্রতিষ্ঠার লড়াই। সম্প্রতি, ব্যক্তিকে পূর্ণ মর্যাদা প্রদানের দাবিতেই যে সব দাবী পুঞ্জীভূত তা আবারো প্রমাণ হচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে সিপিডিআরএস - এর নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সুনির্দিষ্ট ভাবে 'মানব মর্যাদা রক্ষার স্লোগান' তীব্র করার পরেই এখন শাসক ও বিরোধী দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক এমনকি সাধারণ মানুষের মুখে মুখে মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নটা উঠছে। ভারতের বুকে আবারো প্রতিটি পেশাজীবী মানুষের পূর্ণ মর্যাদার স্লোগান, মর্যাদা রক্ষায় বাক্য বিনিময় তীব্র হচ্ছে। শাসকের বুকে ঘটছে ভয়ের সঞ্চার। এটাই সার্বিক ভাবে সাম্প্রতিক কালে মানবাধিকার আন্দোলনের গুরুত্ত্বপূর্ণ সফলতা।
কাজ আরো বাকি। কোনো দয়া বা করুণার দাবি নয়।সমাজকে বোঝাতে হবে ধনী - গরীব ব্যবধান কমানোর ভাঁওতা বাজি তত্ত্ব নয়, চাই অন্ন - বস্ত্র - বাসস্থান - শিক্ষা - চিকিৎসা ও সংমিশ্রণ সহ সকল ক্ষেত্রে নুন্যতম প্রয়োজনের স্বীকৃতি ; অতিরিক্ত ক্ষমতা, ভোগ, বিলাসিতার স্বার্থ রক্ষায় কাউকে লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত করা চলবে না; ঘরে - বাইরে জাতি, ধর্ম, বর্ন, ভাষা, লিঙ্গ ভেদে বৈষম্যের চর্চা অবিলম্বে বন্ধ হোক; পার্লামেন্টে কিম্বা আবদ্ধ ঘরে সংগঠিত মানুষের সংখ্যা গরিষ্ঠতার চর্চা প্রতিষ্ঠিত করে সমাজের সংখ্যা গরিষ্ঠ অসংগঠিত মানুষের জীবনে থ্রেট বা বিপর্যয় ডেকে আনা চলবে না; সব থেকে অশিক্ষিত, অদক্ষ এবং প্রতিবন্ধী মানুষকেও পূর্ণ মর্যাদা ও সহযোগিতা নিয়ে বাঁচবার পূর্ণ সুযোগ দিতে হবে; সমাজ, রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নতাবাদের সকল চর্চা বন্ধ করতে সম্মানের সাথে সহযোগিতা ও সহমর্মিতা গড়ে তোলার পূর্ণ উদ্যোগ। অসংগঠিতের উপর সংগঠিত শক্তির খবরদারি বন্ধের দাবি যত জোরালো হবে ততই তীব্র হবে মানুষের পূর্ণ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই। তখনই আসবে সুদিন।

