মিটিং এ আউশগ্রাম থানার আইসি শান্তনু অধিকারী, ওসি ছোঁড়া রাহুল দাস, বনদপ্তরের আধিকারিক পিনাকী ভট্টাচার্য, গলসী ফায়ার সার্ভিসের অফিসার। ছবি রাখী
রাবণ মণ্ডল
আউশগ্রাম : পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম জঙ্গলমহলের আদিবাসী অধ্যষিত এলাকা রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারাসতের ডাঙা। অজয় তীরের এই প্রাচীন পাণ্ডুরাজার ঢিবির ধর্মাধিকরণ রয়েছে পাশেই। প্রাগৈতিহাসিক যুগের নিদর্শন ক্ষেত্র এটি। পাশেই ছোড়া পুলিশ ফাঁড়ি। সেখানকার বারোশো বিঘা জমির উপর তৈরি এই ডাঙাতে হয় দুর্গা পুজোর কার্নিভাল। এই কার্নিভালের বয়স স্থানীয়দের দাবি ১৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো। এই কার্নিভালে অতীতে বিভিন্ন গৃহস্থ বাড়ির দুর্গা প্রতিমাকে কাহারের দল কাঁধে করে নিয়ে এসে নাচাতো। অনেকে তাই একে আজও বারাসতের ভাসান ডাঙা বলে। তারপর শুরু হয় গো গাড়িতে ঠাকুর আনা। বর্তমানে ট্রাকের উপর চাপিয়ে আনা হয় দুর্গা প্রতিমা। এদিন সেই বারাসতের ডাঙার শতবর্ষ প্রাচীন কার্নিভাল নিয়ে ও এলাকার দুর্গা পুজো কমিটি গুলোকে নিয়ে এক মিটিং ডাকা হয় দুর্গা পুজো কার্নিভাল ও আউশগ্রাম থানার যৌথ উদ্যোগে। পুজো কমিটির পাশাপাশি সরকারি ভাবে পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয় সাধনের জন্যে এই সভাটি হয় ছোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে। সন্ধ্যা সাত টার সভায় উপস্থিত ছিলেন আউশগ্রাম থানার আইসি শান্তনু অধিকার, ওসি ছোঁড়া পুলিশ ফাঁড়ির রাহুল দাস, পদ্মশ্রী শিক্ষক সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সদস্যা কৃষ্ণা বাগ, রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সুব্রত পাল, গলসী ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ও বনদপ্তরের আধিকারিক পিনাকী ভট্টাচার্য, লেখক রাধামাধব মণ্ডল সহ পুজো কমিটির অন্যান্য সদস্য রা। এখানে আলোচনা হয় শতাব্দী প্রাচীন এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করতে পারে ১৫ থেকে ১৮ টি দুর্গা প্রতিমা। স্থানীয় পঞ্চায়েতের থেকে লাইট ও পাণীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়। এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে লেখক রাধামাধব মণ্ডল বলেন, খটনগরের জমিদারদের তৈরি এই ডাঙাতে প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে এই কার্নিভাল। যে কার্নিভালকে ঘিরে জমিদারদের সে কেলে লড়াই জমে উঠতো।
আউশগ্রাম ২ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সেখ আব্দুল লালন বলেন আমাদের আউশগ্রাম বিধানসভার এই কার্নিভাল বেশ পুরনো এবং ঐতিহ্যের। প্রচুর মানুষ সে রাতে জমায়েত হয় এখানে। মিটিং এ আউশগ্রাম থানার আইসি শান্তনু অধিকারী বলেন, 'পুলিশ পাশে আছে। সকলের সহযোগিতা চাই। কোনো ডিজে ব্যবহার করা হবে না। প্রশাসনিক নির্দেশ এলে আরও কয়েকটি মিটিং করা হবে।'