সংঘমিত্রা
গুসকরা

চলছে গাছ লাগানো
গুসকরা
চলছে গাছ লাগানো
আউশগ্রাম বইমেলা ও আউশগ্রাম উৎসব কমিটি এবং গোপালপুর উল্লাসপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করলো দুদিন ব্যাপী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে এদিন দেশীয় বটবৃক্ষ বসানো হয় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জঙ্গলমহলের আউশগ্রাম বইমেলা ও উৎসব কমিটির মাঠে। ছোড়া পুলিশ ফাঁড়ির পাশের সেই বারাসতের ডাঙার চারপাশে লাগানো হল দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকে এমন ২১০ টি অক্ষয় বট। এবং ছোঁড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকাতেও লাগানো হয় বেশকিছু গাছ। এই অভিনব উদ্যোগটি নেয় আউশগ্রাম বইমেলার অন্যতম কাণ্ডারি লেখক রাধামাধব মণ্ডল, রাখী ঘোষ, রাজেশ মণ্ডল, শিবাজী মিত্র, পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এবিষয়ে লেখক রাধামাধব মণ্ডলকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামীদিনে বিজেপি ও বাংলা বিরোধী লড়াইয়ের জন্য সুস্থ থাকতে হবে। যেখানে বাংলা আর বাঙালির সুরক্ষার জন্য তাদের খুব দরকার । সে কারনেই ঈশ্বর বৃক্ষের প্রতিস্থাপন করা হল এদিন এলাকা জুড়ে। আমাদের এই দেশী বটবৃক্ষ ছায়া, আশ্রয় সবই দেয় আমাদের। এবং মৃত্যুঞ্জয়ী এই গাছের প্রাণশক্তিও বেশ সবল। প্রকৃতিকে তারা বহুদিন সবুজ রাখে। এলাকায় এলাকায় বটগাছের সংখ্যাও কমছে দীর্ঘদিন ধরে। সে কারনেই এই উদ্যোগ।' তারা এদিন এলাকায় ২১০ টির মতো বটবৃক্ষ বসান। আগামী দিনেও এমন গাছ লাগানো হবে বলে জানান সহজ সেবা ও সংস্কৃতি শিক্ষা মিশনের সভাপতি রাখী ঘোষ।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে আসেন আউশগ্রাম ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতা বাড়ুই, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সেখ আব্দুল লালন, জেলা যুব তৃণমূল নেতা সেখ সঞ্জু, রামনগর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি আসগর সেখ, শিক্ষক তথা বান্ধব সমিতির সভাপতি মিণ্টু চ্যাটার্জী, বান্ধব সমিতির সম্পাদক শিবাজী মিত্র, পিপিডি স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ছোঁড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা।
এবিষয়ে বনদপ্তরের সহযোগিতায় বটবৃক্ষের চারা গুলো দেওয়া হয় বলেও জানান লেখক রাধামাধব মণ্ডল।
গাছ বসানোর কর্মসূচি পালন করে মিষ্টি খাওয়ানো হয় আউশগ্রামের সব থেকে বড় পুজো কমিটি গোপালপুর উল্লাসপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির আয়োজনে। গাছের চারা বসিয়ে, ঘিরে জল দেওয়ারও কাজ করেন সেখ আব্দুল লালন। তিনি বলেন, এমন মহতী উদ্যোগে আমরা সামিল হয়েছি। লেখকদের, বান্ধব সমিতি ও বইমেলা, দুর্গো পুজো কমিটির সকলকে ধন্যবাদ।