ভক্তি বিশ্বাস, কলকাতা:

জুট ,তেল, তাপবিদ্যুৎ থেকে শুরু করে নানা ছোট বড় কলকারখানা নিয়ে গঠিত হুগলি নদীর তীরে শতাব্দী প্রাচীন বজবজ শিল্পাঞ্চল। কলকাতার পার্শ্ববর্তী এই মফস্বল একদিকে যেমন শিল্পে ভরপুর তেমনি ছিল সবুজে ঘেরা। একসময় বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের দুইপাশ বড়ো বড়ো গাছ পালায় পরিপূর্ণ ছিলো। যদিও কালের ধারাবাহিকতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ নানান কারণে গাছপালার সংখ্যা অনেক কমেছে। নদীর পাড় ভাঙন কবলিত। এমন অবস্থায় বিগত কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলের একদল ছাত্রযুব নবউন্মেষ সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী মঞ্চের মাধ্যমে সুস্থ পরিবেশ সচেতনতা রক্ষায় বৃক্ষরোপণ, চারাগাছ বিতরণ সহ নানান উদ্যোগ নিয়েছে । ওদের এই কাজ বহু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের সমর্থন পেয়েছে । উল্লেখ্য এবছর থেকে উদ্যোগী যুবকরা নদীপাড় ভাঙন রোধে ম্যানগ্রোভ রোপনের কাজ শুরু করছে। আজকের কর্মসূচী প্রসঙ্গে নবউন্মেষ সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী মঞ্চের সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন "আমরা সাধ্যানুযায়ী সারা বছর নানান সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মসূচী সংগঠিত করি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রতি বছর চারাগাছ বিতরণ, বৃক্ষরোপণ করি। কিন্তু বিগত কয়েক বছর আমরা লক্ষ্য করছি এই অঞ্চলের নদীর পাড় ব্যাপক ভাঙনের মুখে পড়েছে। তাই আমরা এই বছর থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে ভাঙন রোধের জন্য, সুন্দরবন থেকে ম্যানগ্রোভ সংগ্রহ করে নদী পাড়ে রোপন করছি।"
পাশাপাশি নবউন্মেষের সভাপতি জানান "অরণ্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে দক্ষিণ শহরতলীর বেহালা, মহেশতলা, বজবজ পূজালী এলাকায় আমরা পাঁচ শতাধিক বৃক্ষরোপণ ও চারাগাছ বিতরণ ও নদী পাড়ে ম্যানগ্রোভ রোপনে সহোযোগী দুই সংগঠন 'ওএআর' এবং 'বরুণ বিশ্বাস স্মৃতিরক্ষা কমিটি'র নিকট আমরা কৃতজ্ঞ।" এই উদ্যোগ সম্পর্কে এলাকার মানুষজনও উৎসাহিত। বজবজ থানা এলাকার এক ব্যক্তির বক্তব্য নদী পাড় যেভাবে ভাঙছে তা প্রতিরোধে এখন থেকে যদি যথার্থ উদ্যোগ না নেওয়া হয়। তাহলে আগামী দিনে দক্ষিণ শহরতলীর শতাব্দী প্রাচীন বজবজের একাংশ নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে।