সোমনাথ চৌধুরী
নিঃসন্দেহে একটি বড় নাম বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই দাপটে ভাটা পড়েনি গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও। একসময় তাঁকে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বীরভূমের বাঘ বলেছিলেন। কিন্তু সেই পরিস্থিতি বদলেছে বিগত কয়েক মাসে। আস্তে আস্তে কি কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরেই অনুব্রত? উঠছে সেই প্রশ্ন।
সম্প্রতি ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় গিয়েছিলেন অনুব্রত । সে সময় তাঁকে ও কাজল শেখকে নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠক করেছিলেন সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম সহ অরূপ বিশ্বাস। দলের ক্ষতি বরদাস্ত করা হবে না কারোর ব্যক্তিগত ইগোর লড়াইয়ের জন্য, স্পষ্ট জানানো হয় দলের তরফে। এরপর অনুব্রত বীরভূমে ফিরতেই ফের আবারও কড়া বার্তা দিল তৃণমূল।
শনিবার কোর কমিটির একটি বৈঠক ডাকা হয় অনুব্রত বীরভূমে ফেরার পর। সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগামী ২৫ জুন কোর কমিটির চেয়ারপার্সন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বৈঠকের ডাক দেন। এই মর্মে একটি বার্তা পাঠানো হয় বীরভূম জেলা তৃণমূলের (TMC) মূল হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুব্রত অনুগামীদের গ্রুপে একটি মেসেজ আসে বৈঠক নিয়ে । যার নীচে লেখা, 'ধন্যবাদান্তে অনুব্রত মণ্ডল'। এরপরেই শুরু হয় চাপানউতোর শাসকদলের অন্দরে।
উক্ত বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে, অনুব্রত অনধিকার চর্চা ও শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। কারণ তিনি আর জেলা সভাপতি নেই এখন, কোর কমিটির একজন সদস্য শুধুমাত্র। ফলে তিনি বৈঠক ডাকতে পারেন না। এই নিয়ে রবিবার তৃণমূল নেতৃত্ব কড়া বার্তা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূলের তরফে নাকি স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বীরভূমে জেলা তৃণমূলের বৈঠক শুধুমাত্র কোর কমিটির চেয়ারপার্সন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকতে পারবেন। অনুব্রত মণ্ডল অথবা কাজল শেখ সহ বাকি কারোর সেই অধিকার নেই।
মূলত, সম্প্রতি তৃণমূল বীরভূমে সাংগঠনিক স্তরে বেশ কিছু রদবদল করেছে । রাজ্যের শাসকদল উক্ত জেলার সভাপতি পদ তুলে দিয়েছে। ৯ সদস্যের কোর কমিটিকে সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal) হলেন সেই কমিটির একজন সদস্য। তবে তাঁর যে বৈঠক ডাকার অধিকার নেই, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল শিবির।