Select language to read news in your own language

ভালোবাসার টাকাই স্বপ্ন গড়ে


যোগমায়া আচার্য

 

প্রবাসে থাকা আত্মীয়রা যে অর্থ ঘরে পাঠান, তা শুধুই একটা লেনদেন না — ওটি ভালোবাসার প্রকাশ, বিশ্বাসের বন্ধন ও স্বপ্ন পূরণের উপায়। ঠিক এই অসামান্য অবদানকে স্মরণ ও উদ্‌যাপন করাই ১৬ জুন আন্তর্জাতিক পরিবারের অর্থপ্রেরণ দিবস (International Day of Family Remittances) এর লক্ষ্য।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন লক্ষ লক্ষ অভিবাসী ও পরিযায়িত শ্রমিক — তারা তাদের ঘরে অর্থ পাঠান পরিবারের কল্যাণে, সন্তানদের শিক্ষার খরচে, ঘর মেরামতে বা চিকিৎসায়। সেই অর্থ শুধুই অর্থনৈতিক সহায়তা না — এর সাথে মিশে রয়েছে আত্মবিশ্বাস, ভালোবাসা ও আত্মোন্নয়নের সম্ভাবনা।

বিশ্বের অর্থনীতিতে এই অর্থপ্রেরণের ভূমিকাও অপরিসীম। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারও বেশি অর্থ ঘরে এসেছে আত্মীয়দের ঘাম ঝরানো অর্থপ্রেরণের মাধ্যমে — যা অনেক উদীয়মান ও অনুন্নত দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বিশেষ করে বাংলাদেশের ও ভারতের অনেক পরিবারের ক্ষেত্রে এই অর্থপ্রেরণ হলো টিকে থাকার অপরিহার্য উপায়। গ্রামগুলিতে প্রতিটি পরিবারে নতুন ঘর উঠেছে, সন্তানরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে, অসুস্থরা চিকিৎসা পাচ্ছে — এই টাকাই সৃষ্টি করেছে আশার আলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থপ্রেরণের সাথে সাথে যে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হয়, তা গ্রাম ও ছোট শহরগুলির অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মোবাইল মানিতে অর্থপ্রেরণ, অনলাইন ও অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ, মানি ওয়ালেট এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ অর্থপ্রেরণকে করেছে অনেক সহজ ও নিরাপদ।
আপনজনরা মুহূর্তের মধ্যেই অর্থ পেয়ে যাচ্ছে — যা অনেক পরিবারের জীবনকে স্থিতিশীল ও সুন্দর করেছে।

জাতিসংঘের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক পরিবারের অর্থপ্রেরণ দিবস উদ্‌যাপন করার মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী স্বীকৃতি দিচ্ছে যে অর্থপ্রেরণের পিছে রয়েছে ভালোবাসা, আত্মবলিদান ও স্বজনপ্রেম।
প্রবাসে যারা পরিশ্রম করে ঘর আলোকিত করে যাচ্ছে, তাদের সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানাই — তাদের ঘাম ও আত্মবিশ্বাসেই অনেক পরিবারের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়।
ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon