সোমনাথ চৌধুরী
বহু টানাপোড়েনের পর এসএসসি (School Service Commission) আদালতের নির্দেশ মাথায় রেখে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সেই নতুন নিয়োগ বিধির পাল্টা দায়ের হয়েছে মামলা।অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের বিধি না মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এসএসসি (SSC)। তবে সেই মামলাটি শুনলই না হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত স্পষ্ট জানাল এখনই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে।
এদিন সোমবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর এজলাসে মামলা উঠলে তিনি জানান, এখনই হস্তক্ষেপ নয় এসএসসির {SSC) নতুন বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত বিষয়ে। হাইকোর্ট জানায় আপাতত স্বাভাবিক ভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে।তবে ফের যদি নিয়োগ নিয়ে কোনও অসুবিধা বা সমস্যা তৈরি হয় তখন আদালত হস্তক্ষেপ করবে, অন্যথায় আগামী জুলাই মাসে হাইকোর্ট মামলা শুনবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম হাই কোর্টে বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অনেক বিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে এসএসসির (SSC) নতুন বিজ্ঞপ্তিতে, যা ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির অনুরূপ নয়।" তিনি আদালতে এও জানান নতুন এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়ম বদল হলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুযোগ আরও কমবে।
প্রসঙ্গত, নতুন বিধি প্রকাশিত হয়েছে এসএসসির (SSC) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার। যেখানে, বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে নম্বর বিভাজনে। যেমন নম্বর বাড়ানো হয়েছে লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে , তেমনই জোর দেওয়া হয়েছে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও চাকরিপ্রার্থীর ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার ওপর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,৪০ বছর বয়স অবধি চাকরির জন্য আবেদন জানাতে পারবেন প্রার্থীরা (চলতি বছরের ১ জানুয়ারির হিসেবে)। বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেওয়া হবে তফশিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) নিয়ম অনুযায়ী।
আগে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া ৫৫ নম্বরের , তবে সেটি বাড়িয়ে এবার ৬০ করা হয়েছে।আগে সর্বাধিক ৩৫ নম্বর ছিল শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর, এখন সেটা কমিয়ে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর করা হয়েছে। তবে সাক্ষাৎকার (Interview) নম্বরে কোনো বদল না এনে সর্বাধিক ১০-ই রাখা হয়েছে।
তবে নতুন কিছু বিধি যুক্ত হয়েছে,যেমন 'লেকচার ডেমোস্ট্রেশন'এর জন্য সর্বাধিক ১০ নম্বর ও শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার ওপর সর্বাধিক ১০ নম্বর' দেওয়া হবে।নতুন বিধি অনুযায়ী, এখন প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্টের মেয়াদ থাকবে প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে ১ বছর অবধি। তবে কমিশন চাইলে সেই সময়সীমা আরও ৬ মাস পর্যন্ত বাড়াতে পারে রাজ্যের আগাম অনুমতি নিয়ে।