জাপানের নারা মেডিকেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সম্প্রতি তৈরি করেছেন এমন একটি কৃত্রিম রক্ত (Artificial Blood), যা সব ধরনের রক্তের গ্রুপের সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে এই আবিষ্কারকে দেখা হচ্ছে, যা রক্তের সংকট ঘুচিয়ে জরুরি চিকিৎসা, দুর্ঘটনা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন বাঁচাতে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে।
এই কৃত্রিম রক্তে রয়েছে হিমোগ্লোবিনের বিকল্প উপাদান, যা এক বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংক্রমণ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই রক্ত রুমের তাপমাত্রায় প্রায় ২ বছর সংরক্ষণযোগ্য, যা দুর্গম এলাকায় ওষুধ বা রক্ত পৌঁছে দেওয়া কঠিন, এমন পরিস্থিতিতেও কার্যকর।
২০২৫ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছে এর মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। প্রথম ধাপে ১৬ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, যদি ট্রায়াল সফল হয়, তবে ২০৩০ সালের মধ্যেই চিকিৎসায় ব্যবহার শুরু হতে পারে এই কৃত্রিম রক্তের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্ভাবন বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষায় নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে, এবং রক্তদানের ওপর নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়ে দেবে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থাও এই প্রকল্পের উপর নজর রাখছে ভবিষ্যতের চিকিৎসার নতুন সম্ভাবনা হিসেবে।