সোমনাথ চৌধুরী
বিগত দিন কয়েক ধরেই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য স্মার্ট মিটার (Smart Meter) নিয়ে ।ইতিমধ্যেই অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন যে বিদ্যুতের বিল অনেকটাই বেশি আসছে স্মার্ট মিটার বাসনোর পরে।এমনকি, পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছে যে গ্রাহকেরা বিক্ষোভ প্রদর্শন পর্যন্ত করেছেন বেশ কিছু জায়গায়।ঠিক এই পরিস্থিতিতে স্মার্ট মিটার নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যতীত আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো। ইতিমধ্যেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের তরফে।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, "সরকারি অফিস, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ারের মতো জায়গায় স্মার্ট মিটার (Smart Meter) লাগানোর পরে তিন-চারটি জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু সংখ্যক উপভোক্তার বাড়িতেও স্মার্ট মিটার বসানো হয়। এমতাবস্থায়, কিছু গ্রাহকের অভিযোগ আসায় প্রয়োজন মোতাবেক পদক্ষেপ করার জন্য গার্হস্থ্য উপভোক্তাদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো বন্ধ রাখা হল।"
এদিকে, এই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পর পরই সেটিকে সমাজমাধ্যমে উপস্থাপিত করে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ওই বিজ্ঞপ্তির শেষে" গার্হস্থ্য উপভোক্তাদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার (Smart Meter) বসানো বন্ধ রাখা হল।"উক্ত লাইনটিকে লাল কালি দিয়ে দাগিয়ে বলেন "বোঝো ঠ্যালা"।
উল্লেখ্য ,রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে স্মার্ট মিটার (Smart Meter) বসানোর পরে বিদ্যুতের বিল বেশি আসার অভিযোগ সামনে আসে। সম্প্রতি, হুগলির ব্যান্ডেলের একজন গ্রাহক অভিযোগ করেন তাঁর বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানোর পরে বিলের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ১২ হাজার টাকায় মাত্র ১ মাসেই।আর এই ঘটনাটি সামনে আসতে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। একপ্রকার জোর করেই প্রিপেড স্মার্ট মিটার বসিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবার বেসরকারিকরণ করার প্রক্রিয়া চলেছে অভিযোগ তোলা হয় সিপিএমের তরফে।
অপরদিকে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার স্মার্ট মিটার (Smart Meter) বসানো হয়েছে রাজ্য জুড়ে। যার মধ্যে গৃহস্থ বাড়িতে বসানো হয়েছে৬৫ শতাংশ।বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বাকি ৩৫ শতাংশ বসেছে। এমতাবস্থায়,একের পর এক বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার অভিযোগ সামনে আসতে থাকে স্মার্ট মিটার বসানোর পর। এমনকি এই বিষয়টি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও পৌঁছে যায়, এরপরেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ দফতরকে এহেন বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দেন বলে জানা গিয়েছে।