শর্মিষ্ঠা পানোলি নামের এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে গ্রেফতার ও পরে জামিনে মুক্তি পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিজেপি এই ঘটনাকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেসকে “হিন্দু-বিরোধী” হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পানোলির একটি কমিউনাল পোস্ট নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ, যদিও পরে তিনি পোস্টটি ডিলিট করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ ঘটনার পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার প্রকাশ্যে পানোলির পক্ষে কথা বলেন। তাদের অভিযোগ, পুলিশ হিন্দুদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে, অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র ও ফিরহাদ হাকিম-এর মতো তৃণমূল নেতাদের ‘উস্কানিমূলক মন্তব্যে’ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
পাল্টা জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, শর্মিষ্ঠা পানোলি আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে ও দক্ষিণপন্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। দলের মুখপাত্র রিজু দত্ত বলেন, “আদালতের ওয়ারেন্ট অনুযায়ী পুলিশ তার কর্তব্য করেছে। বিজেপি আইটি সেলের প্ররোচনায় যেন তরুণ সমাজ প্রভাবিত না হয়, অভিভাবকদের সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত।”
এই বিতর্ক আরও একবার রাজ্যের রাজনৈতিক বিভাজনকে সামনে এনে দিয়েছে—যেখানে একদিকে ধর্মীয় ইস্যুকে হাতিয়ার করছে বিজেপি, অন্যদিকে তৃণমূল তা সোশ্যাল মিডিয়া নাটক বলেই উড়িয়ে দিচ্ছে। বিষয়টি রাজনৈতিক মেরুকরণের নতুন মাত্রা তৈরি করছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।