ইস্তানবুল: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সর্ববৃহৎ বন্দী বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে। এ বিনিময়ের মাধ্যমে দুই পক্ষ মিলিয়ে ১,০০০ জন বন্দী মুক্তি পেয়েছেন, যা ২০২২ সালের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত হওয়া বন্দী বিনিময়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনা।
এই বন্দী বিনিময়টি তুরস্কের ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক মুখোমুখি আলোচনার পরেই সম্পন্ন হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি ২০২২ সালের পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের সেনাদের ঘরে ফেরানো প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের জন্য গর্বের। এই বিনিময় যুদ্ধের অবসানের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “মুক্তিপ্রাপ্ত রুশ সেনাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হবে। এই বিনিময় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ইতিবাচক ফল।”
এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করে তুরস্ক, যারা যুদ্ধ শুরু থেকেই শান্তি আলোচনার পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান এই বিনিময়কে “শান্তির বার্তা” বলে অভিহিত করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এত বড় পরিসরের বন্দী বিনিময় ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দুই দেশই হয়তো কূটনৈতিক সমাধানের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যদিও এখনো যুদ্ধ পুরোপুরি থামেনি, তবে এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মহলে আশাবাদের সঞ্চার করেছে।
এই বন্দী বিনিময় কেবল দুই দেশের সৈনিকদের মুক্তিই নিশ্চিত করেনি, বরং দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের মাঝে শান্তি আলোচনার জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের চাপও ক্রমশ বাড়ছে।