যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি নতুন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন উভয় দেশের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা। চুক্তির আওতায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরসহ বিভিন্ন খাতে যৌথ কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনের অর্থনীতি পুনর্গঠনের পাশাপাশি, পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিরা এটিকে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর একটি বড় কূটনৈতিক বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই অংশীদারিত্ব চুক্তি কেবল অর্থনৈতিক সম্পর্কই নয়, বরং ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দুই দেশের বন্ধনকে আরও মজবুত করবে।
চুক্তির ফলে পরবর্তী কয়েক বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে করে ইউক্রেন তার যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে আন্তর্জাতিক সহায়তা ও বিনিয়োগ আরও বেশি পরিমাণে আকর্ষণ করতে পারবে।
এই নতুন অংশীদারিত্ব আন্তর্জাতিক মহলে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে, বিশেষ করে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি আরও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।