যেখানে খোদ ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক ডেকেছেন, সেখানে কী প্রমাণ করতে চাইলেন অনুব্রত মন্ডল আলাদা ভাবে বৈঠক ডেকে? অনুব্রত নিজের 'ক্ষমতা' বোঝাতেই কী আলাদা করে বৈঠকের আহ্বান দিলেন? তাহলে কী চেয়ারপার্সনের উপরে উঠতে চাইছেন অনুব্রত মন্ডল?এই প্রশ্নই উডছে এখন দলের অন্দরেই।

সোমনাথ চৌধুরী
কাটল না জট রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরেও। শনিবার কেষ্টকে 'লাস্ট ওয়ার্নিং' দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। তবে তাতে কী! আগামী ২৫ তারিখ, বোলপুরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে বুধবার বৈঠক ডেকেছে বীরভূমের কোর কমিটি। ওই একই সময় বৈঠক ডেকেছেন কোর কমিটিরই সদস্য অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও কোর কমিটির চেয়ারপার্সন তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠছে একই বৈঠকের জন্য আলাদা আলাদা ডাক।
সূত্র মারফত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শনিবার বোলপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির চেয়ারপার্সন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় মূল হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। এদিকে ওই একই বৈঠকের জন্য অনুব্রত-অনুগামীদের গ্রুপেও ডাক পড়েছে তার কিছুক্ষণ পরই। বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে নিচে লেখা রয়েছে, 'ধন্যবাদান্তে অনুব্রত মণ্ডল',এখানেই উঠছে প্রশ্ন?
যেখানে খোদ ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক ডেকেছেন, সেখানে কী প্রমাণ করতে চাইলেন অনুব্রত মন্ডল আলাদা ভাবে বৈঠক ডেকে ? অনুব্রত নিজের 'ক্ষমতা' বোঝাতেই কী আলাদা করে বৈঠকের আহ্বান দিলেন? তাহলে কী চেয়ারপার্সনের উপরে উঠতে চাইছেন অনুব্রত মন্ডল ? এই প্রশ্নই উডছে এখন দলের অন্দরেই।
উল্লেখ্য, শনিবার বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে কড়া বার্তা দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী বৈঠকে স্পষ্ট বলা হয়, এই দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। দলের ক্ষতি সহ্য করা হবে না কারোর ব্যক্তিগত ইগোর লড়াইয়ের কারণে। এই বার্তা কেবল অনুব্রত মণ্ডলকেই নয়, দেওয়া হয়েছে কাজল শেখকেও।
শনিবার, একুশে জুলাইয়ের বৈঠকের জন্য অনুব্রত মন্ডল - কাজল শেখরা কলকাতায় এসেছিলেন। শহিদ স্মরণ কর্মসূচি সহ বেশ কিছু সাংগঠনিক বিষয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য জেলা নেতৃত্বদের ডেকেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। গতকাল অনুব্রত মন্ডল দুপুর ১টা নাগাদ ভবানীপুরে গীতবিতান ভবনে পৌঁছন। এরপর ফিরহাদ হাকিম তাঁকে ও কাজল শেখকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর দফতরে হাজির হন । সেখানে অরূপ বিশ্বাসও ছিলেন এমনটাই খবর।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী , এদিন অনুব্রত মন্ডলকে লাস্ট ওয়ার্নিং দেওয়ার পাশাপাশি দলের দুই নেতাকে কড়া বার্তা দেয় দল। এরপর পরিষ্কার করে দেওয়া হয় যদি এদিক ওদিক কিছু হয়, তাহলে দল সহ্য করবে না। তবে সেই বার্তার কয়েক ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই নয়া বিতর্ক শুরু বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে।