সোনিয়া দাস
নিষেধাজ্ঞা স্কুলে তুলসী মালা পরে আসায়। সম্প্রতি এমন ফতোয়া জারি করেছিলেন বারাসাতের (Barasat) নবপল্লী যোগেন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যামন্দিরের (Nabapalli Jogendranath Balika Vidyamandir) প্রধান শিক্ষিকা! যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। উক্ত বিষয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি মন্তব্য করেছিলেন এহেন মন্তব্যের জেরে প্রধান শিক্ষিকার (HeadTeacher) ক্ষমা চাওয়া উচিত । এই নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই বারাসাতের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবি, তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে , স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি অডিও মেসেজ পাঠিয়েছিলেন । সেখানে বলা হয়, বিদ্যালয়ে আসা যাবে না তুলসী কাঠের মালা সহ কানে ও গলায় কোনও রকম অলংকার পরে। সেই সঙ্গেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় মোবাইল নিয়ে বিদ্যালয়ে আসার ক্ষেত্রেও।
অডিও বার্তা সামনে আসতেই তুলসী মালা সংক্রান্ত নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। তারপর সাংবাদিকদের ডেকে উক্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন নবপল্লী যোগেন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা। সেই সাথে এও বলেন, যে ভাবনা থেকে কথাটা বলেছিলেন তার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি।
প্রধান শিক্ষিকার কথায়, 'আমি আগেও বলেছি আমি ঠাকুরভক্ত। তুলসী মালা পরে আসবে না, আমি এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারি না এবং করিওনি। তবে আমি বাচ্চাদের স্কুল ড্রেসে পরতে নিষেধ করেছিলাম যাতে তুলসীর অপমান না হয় সেটা ভেবেই। কিন্তু আমি দুঃখিত সেটা এই চেহারা নেওয়ায়'।
এখানেই না থেমে প্রধান শিক্ষিকা এও বলেন, তিনি নিজে একজন কৃষ্ণভক্ত। সেই সঙ্গেই জগন্নাথের সেবাইত বলে দাবি করনে। পাশাপাশি তিনি স্কুলে অনেক তুলসী গাছও লাগিয়েছেন বলে দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, তাঁর কথায় কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি দুঃখিত।
উল্লেখ্য, নবপল্লী যোগেন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা (Head Teacher) তুলসী মালা পরে আসা যাবে না এমন ফতোয়া জারি করেছেন, একথা সামনে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়। শিক্ষা মহলের সাথে সাথে রাজনৈতিক মহলেও চাপানউতোর শুরু হয় বলে খবর। বিতর্ক বাড়তেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা করলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোমা চক্রবর্তী। সেই সাথে তিনি এও বললেন, তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।