সোমনাথ চৌধুরী
একটি বিমান দুর্ঘটনা (Plane Crash) তাতেই রাতারাতি শয়ে শয়ে জীবন প্রদীপ নিভে গেলও। কতজন প্রিয়জনকে হারালেন চিরতরে , স্বপ্নভঙ্গ হল কতজনের।গুজরাটের হিম্মতনগরের তরুণী পায়েল খটিক রয়েছেন স্বপ্ন ভাঙার দলেই । রিকশাচালক বাবা খুব কষ্ট করেই তাঁর মেধাবী মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে দাঁড় করিয়েছিলেন নিজের পায়ে। সম্প্রতি পায়েল চাকরি পেয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন লন্ডনের উদ্দেশে। কিন্তু তাঁর সে স্বপ্ন আর পূরণ হল না।পায়েলের প্রাণ কেড়ে নিলও আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা (Plane Crash)।
অভাব অনটনকে সঙ্গী করেই ছোট বেলা থেকেই বড় হয়েছেন পায়েল। তবে মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য কম পরিশ্রম করেননি রিকশা চালক বাবা। সম্প্রতি মেধাবী পায়েলও ভালো ফলাফল করে চাকরি পেয়েছিলেন একটি নামী বেসরকারি সংস্থায়, সেখান থেকেই পাঠানো হচ্ছিল লন্ডনে তাঁকে।
নামী সংস্থায় চাকরি সাথে বিদেশ সফর, পায়েলের স্বপ্নগুলি এক এক করে সত্যি হচ্ছিল। জানা গিয়েছে, আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর (Plane Crash) বৃহস্পতিবার বাবা সুরেশভাইয়ের সঙ্গেই আসেন পায়েল। চেপে বসেন এয়ার ইন্ডিয়ার সেই 'অভিশপ্ত' বিমানে। আর কিছুক্ষণের মধ্যে কী ঘটতে চলেছে তখনও কেউ টের পাননি।
বাবা সুরেশভাই মেয়েকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলেন বলে খবর। তার কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে, ভেঙে পড়েছে বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ (Plane Crash)। তারপরেই বাড়িতে ওঠে হাহাকার। দুর্ঘটনা যেমন ভাবে ঘটেছিল, তাতে আর কারোরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছিলেন ওয়াকিবহাল মহল। তারপরেও একজন যাত্রী বেঁচে ফিরেছেন। কিন্তু আর কারোরই জীবিত থাকার কোনো খবর মেলেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে , বিকল হয়ে গিয়েছিল(Plane Crash) বিমানের দুটি ইঞ্জিন। এমনকি অকেজো হয়ে গিয়েছিল মূল পাওয়ার সিস্টেমও। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা তার জেরেই ঘটে।দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ইলেকট্রিকাল সিস্টেম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা জানা যাবে উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্স থেকে।