নরেন্দ্রনাথ কুলে
কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের বেকারত্বের হার ক্রমশ বেড়ে চলেছে বলে সম্প্রতি খবরে প্রকাশিত। অথচ গত বছর দেশে বেকারের পরিসংখ্যানে বিজেপি সরকার সব রেকর্ড ভেঙেছে বলে সংবাদ(২৮.০৩.২৪) প্রকাশিত হয়েছিল । অর্থাৎ বেকারত্বের হার বৃদ্ধির কথা নতুন নয় । তবে বিরোধীদের ও পরিসংখ্যানকারীদের কুৎসা বলে বিজেপি পূর্ববর্তী সময়ে এড়িয়ে গেলেও এখন আর এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই । তারই রিপোর্ট বলছে সে কথা। এমনকি গত বছর কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টাও তা এড়িয়ে যেতে পারেননি । 'ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট-২০২৪' রিপোর্ট তিনি ফাঁস করে দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার অনুষ্ঠানে । সেই রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে বেকারদের মধ্যে তিরাশি শতাংশই যুবক-যুবতী । শুধু তাই নয় বেকারত্ব কমানোর দাওয়াই নাকি সরকারের হাতে নেই বলেও তাঁর মত ব্যক্ত করেছেন । যুবক-যুবতীর এই অবস্থার পাশাপাশি আর একটি পরিসংখ্যান আরো ভয়াবহ । তা হল বিশ্ব ক্ষুধা সূচক তালিকায় ভারতের স্থান ক্রমশ নিম্নমুখী যা ১২৫ টি দেশের মধ্যে ১১১ তম । এমনকি কৃষকদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক । তাই বেকারত্বের হার বৃদ্ধির খবর চলমান সরকারের স্বাভাবিক নিয়মের প্রতিফলন ।
কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের বেকারত্বের হার ক্রমশ বেড়ে চলেছে বলে সম্প্রতি খবরে প্রকাশিত। অথচ গত বছর দেশে বেকারের পরিসংখ্যানে বিজেপি সরকার সব রেকর্ড ভেঙেছে বলে সংবাদ(২৮.০৩.২৪) প্রকাশিত হয়েছিল । অর্থাৎ বেকারত্বের হার বৃদ্ধির কথা নতুন নয় । তবে বিরোধীদের ও পরিসংখ্যানকারীদের কুৎসা বলে বিজেপি পূর্ববর্তী সময়ে এড়িয়ে গেলেও এখন আর এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই । তারই রিপোর্ট বলছে সে কথা। এমনকি গত বছর কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টাও তা এড়িয়ে যেতে পারেননি । 'ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট-২০২৪' রিপোর্ট তিনি ফাঁস করে দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার অনুষ্ঠানে । সেই রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে বেকারদের মধ্যে তিরাশি শতাংশই যুবক-যুবতী । শুধু তাই নয় বেকারত্ব কমানোর দাওয়াই নাকি সরকারের হাতে নেই বলেও তাঁর মত ব্যক্ত করেছেন । যুবক-যুবতীর এই অবস্থার পাশাপাশি আর একটি পরিসংখ্যান আরো ভয়াবহ । তা হল বিশ্ব ক্ষুধা সূচক তালিকায় ভারতের স্থান ক্রমশ নিম্নমুখী যা ১২৫ টি দেশের মধ্যে ১১১ তম । এমনকি কৃষকদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক । তাই বেকারত্বের হার বৃদ্ধির খবর চলমান সরকারের স্বাভাবিক নিয়মের প্রতিফলন ।
তাহলে উন্নত ভারতের লক্ষ্যে মোদির স্লোগান 'সব কা সাথ সব কা বিকাশ' শুধু স্লোগান ছাড়া আর কিছু নয় । তা কি প্রমাণিত নয় ? অধিকাংশ যুবক-যুবতী কর্মহীন, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান নিম্নগামী, অথচ ভারত আগামী ২০২৭ সালে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে যাবে বলে সরকারের এই আর্থিক উপদেষ্টা ব্যক্ত করেছিলেন ২০২৩ সালের জুন মাসে । আগেও তিনি এই বিকাশশীল অর্থনীতির কথা ২০১৯ সালের 'ব্রিকস'-এর সভায় বলেছিলেন । আবার ২০২৩ সালের আগস্টে জোহানেসবার্গের 'ব্রিকস'-এর সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ভারতের অর্থনীতি পাঁচ লক্ষ কোটি ডলার ছুঁয়ে ফেলবে ।
দেশের অর্থনীতি বিকাশশীল হতে বেকারত্ব ও মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করার প্রয়োজন নেই তাহলে । কোন জাদুবলে দেশ এমন বিশ্ব বৃদ্ধির ইঞ্জিন হবে বলে তাঁরা ব্যক্ত করতে পারেন ? তা কি বিজেপি সরকারের মন্দির সংস্কৃতির জাদুতে ? তবে এ কথা ঠিক যে বিজেপি সরকারের মন্দির সংস্কৃতি দেশের বেকারত্ব কমাতে পারে নি, মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে নি । তাহলে কি বলা যায় এই বেকার যুবক-যুবতী ও অভুক্ত মানুষদের কেউই হিন্দু নয় । বেকার যুবক-যুবতীর শতাংশের পরিসংখ্যান সেই নিশ্চয়তা দেয় না । তাহলে 'অমৃত ভারত' গড়ার লক্ষ্যে কাদের জন্য অমৃত, এ প্রশ্ন এমনিতেই এসে যায় ।