সাতসকাল :
২৬ শের ভোটের আগে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে (Kaliganj By Election) বাজিমাত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ বিজেপি ও বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীকে টেক্কা দিয়ে জয়ী হয়েছেন। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সেই উপনির্বাচন নিয়েই বড় তথ্য তুলে ধরলেন। তিনি দাবি করেন, সেই অর্থে বিজেপি কালীগঞ্জের মুসলিম অধ্যুষিত অধিকাংশ বুথে ভোট পায়নি। তবে গেরুয়া শিবির হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ বুথ গুলির প্রায় প্রত্যেকটিতেই এগিয়ে।
মঙ্গলবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি সেই পোস্টে লিখেছেন, পদ্ম প্রার্থী হয় একক সংখ্যায় ভোট পেয়েছেন আর নাহলে প্রাপ্ত ভোট পঞ্চাশের গণ্ডি পেরোয়নি কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের মুসলিম অধ্যুষিত বুথগুলির অধিকাংশতেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজের দাবির স্বপক্ষে বেশ কয়েকটি ছবিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি প্রার্থী মুসলিম অধ্যুষিত এমন বুথে মাত্র ১টি ভোট পেয়েছেন তো কোথাও আবার সেই সংখ্যা ৮ কিংবা ৯। বহু বুথে আবার বিজেপি প্রার্থী পঞ্চাশের গণ্ডিও টপকাতে পারেননি।
সেই ছবি শেয়ার করে শুভেন্দু লিখেছেন, 'কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে মুসলিম অধ্যুষিত সিংহভাগ বুথ গুলিতে বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট হয় 'একক সংখ্যায়' সীমাবদ্ধ অথবা পঞ্চাশের গণ্ডি পেরায়নি। বিজেপি প্রার্থী মুসলিমদের ভোট পাননি। আবার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ বুথে প্রায় সব গুলোতেই বিজেপি এগিয়ে। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভোটারদের এই ঐক্যের চিত্র আগামী দিনে রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ধ্বজা ওড়ানোর ইতিহাস রচনা করতে চলেছে'।
বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্যের হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে মোথাবাড়ি, মহেশতলা, মুর্শিদাবাদের এই ধরনের ঘটনা বাড়তেই থাকবে। তিনি এও লেখেন, 'হিন্দু ঐক্যই একমাত্র পথ। হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে মোথাবাড়ি, মুর্শিদাবাদ, মহেশতলা, এমন ঘটনা বাড়তেই থাকবে আক্রমণ ও হামলা…। যদি সারা বাংলার হিন্দুরা এক জোট হয়, তাহলে ২০২৬-এ পরিবর্তন অনিবার্য'।
উল্লেখ্য, আর কয়েক মাস পেড়োলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল বাজিমাত করলেও হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রায় প্রত্যেকটি বুথেই বিজেপি প্রার্থী এগিয়ে বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, সারা বাংলার হিন্দুরা একত্রিত হলে ২০২৬ শে পরিবর্তন হবেই।