বিশ্ববাজারে তেলের দাম চার বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ের স্তরের কাছাকাছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিমালা এবং OPEC+ সদস্য দেশগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি এই দরপতনের মূল কারণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
তেলের এই মূল্যের পতন ভোক্তাদের জন্য আশার কথা, কারণ এটি মহামারীর পরে বেড়ে যাওয়া মুদ্রাস্ফীতিকে কিছুটা কমিয়ে আনতে সহায়তা করছে। কম দামের তেল ও জ্বালানির ফলে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা তাদের খরচ কমিয়ে বেশি খরচ চালাতে পারছেন, যা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক সংকেত।
তবে তেলের দাম পড়ায় তেল-উৎপাদনকারী দেশগুলো কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছে। বিশেষ করে যারা উচ্চ খরচে তেল উত্তোলন করে এবং যাদের কাছে আর্থিক রিজার্ভ সীমিত, তাদের জন্য এই দাম পতন মারাত্মক হতে পারে। অনেক দেশে বাজেট ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে জ্বালানি খাতের এই পরিবর্তন আগামী মাসগুলোতে বড় প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজার ও সরকারের নীতির ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যতের দাম ওঠানামার গতিপথ।