সোমনাথ চৌধুরী
চলতি বছরের বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে রথযাত্রা নিয়ে আলাদাই উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । প্রতি বছরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে উপস্থিত থেকে মাহেশের রথযাত্রার সূচনা করেন। তবে এবার দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা নিয়েই আগ্রহ বেশি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। দিঘায় রথযাত্রার প্রস্তুতির সাথে সাথে মুখ্যমন্ত্রী সব বিধায়কদের নিজ নিজ এলাকায় রথযাত্রা উদযাপন করার নির্দেশ দিলেন।
সোমবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, রথযাত্রার দিন নিজ নিজ বিধানসভা এলাকায় উপস্থিত থাকবেন প্রত্যেক বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় রথযাত্রা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। দিঘায় এ বছর প্রথম রথযাত্রা পালন করা হবে। প্রভু জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার সাজানো রথ বেরোবে। সেই উপলক্ষে চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি।
দীঘার মন্দির থেকে বেরিয়ে মাসির বাড়ি যাবে জগন্নাথদেবের রথ।সাজো সাজো রব চলছে সেই মাসির বাড়ির এলাকাতেও ।রথযাত্রার দিন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং দিঘায় উপস্থিত থাকবেন। রথ যাত্রার শুভ সূচনা করবেন তিনিই রথের দড়ি টেনে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। জানা ব্যারিকেড করা থাকবে মন্দিরের দুপাশের রাস্তার ধারে।সাধারণ মানুষ থাকবেন তার ওপারে। তবে যাতে সবাই রথের দড়ি ছুঁতে পারে তার সুব্যবস্থা করা হবে।
সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী,মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রথযাত্রার দিন দিঘায় উপস্থিত থাকতে পারেন মন্ত্রী অরূপ রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল সেন, সুজিত বসুরা। অপরদিকে মন্ত্রী বিধায়কদের একটা বড় অংশ উল্টো রথের সময় দিঘায় যেতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
এদিনের বৈঠকে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘার জগন্নাথদেবের মন্দির, জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার একটি বাধানো ছবি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ছবিটি তিনি নবান্নে রাখবেন।পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন বিধানসভায় এবং সব বিধায়কদেরও ছবিটি রাখার।