Select language to read news in your own language

স্বামীজির স্মরণে ফলক উন্মোচন জলপাইগুড়ি স্টেশনে

 

জলপাইগুড়ি: বুদ্ধ পূর্ণিমার পবিত্র দিনে, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বর্তমান সভাপতি শ্রীরামত স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ, বেলুড় মঠের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ি টাউন রেলওয়ে স্টেশনে একটি স্মারক ফলক উন্মোচন করেন। এই স্মারকটি স্বামী বিবেকানন্দের জলপাইগুড়ি সফরের ১২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে স্থাপন করা হয়।

এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ ডঃ জয়ন্ত কুমার রায়, কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের শীর্ষ আধিকারিকগণ, বিশিষ্ট নাগরিক, সন্ন্যাসী, ভক্ত ও বহু সাধারণ মানুষ।

৯৭ বছর বয়সেও মহারাজের এই সফর ছিল অনন্য। তাঁর অফুরন্ত প্রাণশক্তি ও ভক্তিভাব জলপাইগুড়িবাসীর মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের কাছে এই অভিজ্ঞতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রসঙ্গত, স্বামী বিবেকানন্দ চারবার জলপাইগুড়ি হয়ে সফর করেন—১৮৯৭, ১৮৯৮ এবং ১৯০১ সালে। ওই সময় তিনি দার্জিলিং মেইল ট্রেনের মাধ্যমে ভ্রমণ করতেন। স্টেশনে ট্রেন থামলে স্বামীজির পাদচারণায় আলোকিত হত জলপাইগুড়ি।

জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী অমরানন্দজী মহারাজ বলেন, “এই ফলক কেবল স্বামীজির সফরকে স্মরণ করার জন্য নয়, বরং তাঁর জলপাইগুড়িতে পদার্পণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি—যাঁদের কাছে স্বামীজির স্মৃতি বা তথ্য রয়েছে, তাঁরা যেন আমাদের জানান। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অমূল্য সাংস্কৃতিক স্মৃতিচিহ্ন হয়ে থাকবে।”

অনুষ্ঠান শেষে স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে স্বামীজির শিক্ষা ও আদর্শ নিয়ে একটি প্রেরণাদায়ক ভাষণ দেন। পরে তিনি বেলুড় মঠে ফিরে যান।

এই স্মারক ফলক শুধু একটি পাথরের নিদর্শন নয়, এটি এক অনন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত—যা জলপাইগুড়ির মানুষের কাছে স্বামীজির উপস্থিতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে। তাঁর জীবন ও আদর্শ আজও পথ দেখায় লক্ষ লক্ষ মানুষের।

ads banner