Select language to read news in your own language

বিশ্ব বায়ু দিবস: প্রকৃতির অমৃতধারা যা জীবন বাঁচায়


ছন্দা আচার্য

 

প্রতি বছর ১৫ জুন পালিত হয় বিশ্ব বায়ু দিবস — যে দিনটি উৎসর্গিত থাকে প্রকৃতির অপরিবর্তনীয় শক্তিতে — বায়ু বা হাওয়ায়। যে হাওয়া বিনা জীবন অসম্পূর্ণ, যে হাওয়া উদ্দীপিত করে গাছের পাতা, ঘূর্ণায় কল-কারখানার পাখা, আবার সেই হাওয়াই পরিবহণ করে বৃষ্টির মেঘ — সেই হাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।

বিশ্ব বায়ু দিবসের বিশেষত্ব হলো, এর মধ্য দিয়ে সবাইকে স্মরণ করানো যে হাওয়া হলো পরিবেশের আত্মা ও জীবনরক্ষক। যে হাওয়া বিনামূল্যে প্রবাহিত হয়, সেই হাওয়াই আজ দূষিত ও কলঙ্কিত হয়েছে কলকারখানার কালো ধোঁয়া, যানবাহনের কার্বন নির্গমন ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে।

বিশ্ব বায়ু দিবস আমাদের আবারও মনে করিয়ে দিতে চায় যে হাওয়ার গুণমান বজায় রাখা অপরিহার্য, কারণ দূষিত হাওয়া মানে অসুস্থ শরীর, দুর্বল ফুসফুস ও অনেক অসুস্থতা। এর বাইরে রয়েছে পরিবেশের ঘাটতি — যা উদ্ভিদের আলোকসংশ্লেষণ ও আবহাওয়ার প্যাটার্নে ঘাটতি সৃষ্টি করে। তাই পরিবেশ ও হাওয়ার মানোন্নয়ন সবাইকে মেনে চলতে হবে — কারো পক্ষে তা এড়ানো যায় না।

বিশ্ব বায়ু দিবসটি উদ্‌যাপন করার অর্থ হলো সবাই মিলে হাওয়ার পবিত্রতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার অঙ্গীকার নেওয়া। কার্বন নির্গমন হ্রাস, পরিবহণে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থার ব্যবহার, কলকারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রন ও আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। বিশেষ করে নতুন ও পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস হিসেবে বায়ুশক্তির ব্যবহার বাড়লে কার্বন নির্গমন উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেতে পারে।

বিশ্ব বায়ু দিবস তাই একটা অমৃতবার্তা — সবাই মিলে হাওয়ার ঘরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখা অপরিহার্য, কারণ হাওয়াই হলো জীবন ও সুস্থতার ভিত্তিপ্রস্তর। এই দিনটি হোক পরিবেশরক্ষায় সবাইকে নতুন করে অনুপ্রেরণা দেওয়ার দিন, যে দিনে সবাই বলুন — “বিশুদ্ধ হাওয়া চাই, সুন্দর ও সুস্থ জীবন চাই।”


ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon