সোমনাথ চৌধুরী
প্রতি বছর বছর গরম বেড়ে চলেছে। সেই সাথে এসির (Air Conditioner) ব্যবহার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। যে অনুপাতে প্রতি বছর গ্রীষ্মের দাপট বাড়ছে, অধিকাংশ বাড়িতেই এখন দেখা যাচ্ছে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (Air Conditioner) দাপট। এসির ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে বিদ্যুতের খরচও সমানুপাতিক হারে বেড়েই চলেছে। তাই এবার কেন্দ্র সরকারের তরফে নেওয়া হতে চলেছে বড় সিদ্ধান্ত। খরচে লাগাম টানতে ও বিদ্যুৎ অপচয় রুখতে এবার এসির (Air Conditioner) তাপমাত্রা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার সরকার।
এখন থেকে আর ইচ্ছা মতো তাপমাত্রা বাড়ানো কমানো যাবে না। চাইলেই নিজের ইচ্ছে মতো এসির তাপমাত্রা হেরফের করা যাবে না, মঙ্গলবার একথা জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। এসির তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রির বেশি বাড়ানো যাবে না এবং ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামানো যাবে না। এই প্রথম এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে সরকারের তরফে। মূলত বিদ্যুৎ বাঁচানোর লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, শীঘ্রই নতুন বিধান কার্যকর করা হবে এসির (Air Conditioner) মান নির্ধারণে। ২০ ডিগ্রি থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই রাখতে হবে এসির (Air Conditioner) তাপমাত্রা। এই প্রথম এমন পদক্ষেপ পরীক্ষামূলক ভাবে করা হচ্ছে সরকারের তরফে। এই নিয়ম চালু করা হবে গৃহস্থের বাড়িতে লাগানো এসির (Air Conditioner) পাশাপাশি গাড়ি, অফিস কাছারি সবেতেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসির (Air Conditioner) তাপমাত্রা যত কমানো হয়, বিদ্যুৎ খরচও তত বাড়ে। ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ালেও প্রায় ৬ শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ হবে বলে জানা যাচ্ছে। এভাবে বিদ্যুৎ বাঁচানো সম্ভব ৩ গিগাওয়াট পর্যন্ত।
রিপোর্ট বলছে, গত বছর গ্রীষ্মে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ ২৫০ গিগাওয়াটে পৌঁছে গিয়েছিল। চলতি বছরে তা আরো বেড়ে ২৭০ গিগাওয়াটে পৌঁছে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ২০৩৫ সালের মধ্যে ৬০ গিগাওয়াট পর্যন্ত চাহিদা কমতে পারে। অনেক সময়ই তাপমাত্রা যতটা কমানো থাকে ততটা প্রয়োজন পড়ে না। তবে তাপমাত্রা বেঁধে দেওয়া হলে যেমন বিদ্যুতের খরচ কমবে, তেমনি গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমনও কমবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও জানান, বিভিন্ন সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হবে ঘন্টায় ৩০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ ধরে রাখতে সক্ষম, এমন ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেম তৈরির জন্য।যার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।