বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, বর্তমানে চরম রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই সরকার এখন ব্যাপক বিক্ষোভ, প্রশাসনিক অস্থিরতা এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মুখোমুখি।
সরকারি চাকরিজীবীদের অবাধে বরখাস্তের সুযোগ রেখে একটি অধ্যাদেশ জারি করায় শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীরা বিক্ষোভে নেমেছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে এবং কোনো ধরনের বিভেদ নেই। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের অবনতি হলে তা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে।
নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিরোধীদলগুলোর মতবিরোধ রয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিলেও, বিরোধীদলগুলো ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এই মতবিরোধ রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে। সরকার, বিরোধীদল এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও সংলাপের মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে বের করাই এখন সময়ের দাবি।