ফেসবুক তার উপভোক্তাদের (ব্যবহারকারীদের) অন্য ব্যবহারকারীকে ব্লক করার স্বাধীনতা বা অপশন দিয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, মানসিক ও নিরাপত্তাজনিত কারণে। মূল কারণগুলো তুলে ধরা হলো:
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা রক্ষা করা
ব্লক অপশনটি ব্যবহারকারীদের অনলাইনে হয়রানি, স্টলকিং (stalking), হুমকি বা বিরক্তিকর আচরণ থেকে রক্ষা করে। ব্লক করার ফলে ওই ব্যক্তি আপনার প্রোফাইল দেখতে, আপনাকে মেসেজ দিতে বা আপনার পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে না।
মানসিক শান্তি ও ডিজিটাল ওয়েলবিয়েং
সব ব্যবহারকারীর মানসিক অবস্থা বা সামাজিক সহনশীলতা এক নয়। কেউ যদি কারো কনটেন্ট দেখে বিরক্ত হন বা মানসিক অস্বস্তিতে পড়েন, তবে তাকে ব্লক করার সুযোগ থাকলে তিনি ডিজিটাল পরিবেশে নিজেকে নিরাপদ ও শান্ত মনে করেন।
নিজস্ব ডিজিটাল সীমারেখা নির্ধারণ করার অধিকার
ফেসবুক একজন ব্যবহারকারীকে তার অনলাইন স্পেসের উপর নিয়ন্ত্রণ দেয়। আপনি কাকে দেখতে চান, কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চান – তা নির্ধারণ করার অধিকার আপনারই। ব্লক অপশন এই ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণেরই প্রতিফলন।
নেতিবাচক যোগাযোগ এড়ানো
কখনো কখনো পারিবারিক, বন্ধুত্বপূর্ণ বা পেশাগত সম্পর্কেও ভুল বোঝাবুঝি হয় বা সংঘর্ষ দেখা দেয়। সেই ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি চাইলে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে অপরজনকে ব্লক করে সম্পর্ক থেকে বিরতি নিতে পারেন।
অনলাইন অপরাধ ও সাইবার বুলিং রোধে সহায়ক
ব্লক অপশন অনলাইনে শিশু বা নারীদের বিরুদ্ধে হয়রানি, ব্ল্যাকমেইল, ট্রোলিং ইত্যাদি ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এটি সাইবার অপরাধ রোধে সাহায্য করে।
ডিজিটাল স্বাধীনতা ও ইউজার কন্ট্রোল
ফেসবুকের মূল নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যবহারকারী তার একাউন্টের উপর পূর্ণ অধিকার রাখেন। ইউজারদের স্বাধীনতা দিতে গিয়ে ফেসবুক চায় না তারা বাধ্য হন অনিচ্ছাকৃত যোগাযোগে থাকতে।
ফেসবুকের ‘ব্লক’ ফিচারটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত অপশন নয়, এটি একটি সামাজিক ও নৈতিক প্রয়োজন, যা ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ডিজিটাল পরিবেশে স্বাধীনতা, সুরক্ষা ও স্বস্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।