নয়াদিল্লি: তালিবান-শাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে ভারত। সাম্প্রতিক পদক্ষেপ হিসেবে আবারও চালু করা হয়েছে বাণিজ্যিক রুট, পাশাপাশি আফগান নাগরিকদের জন্য নতুন করে ভিসা ইস্যু করাও শুরু হয়েছে। তালিবান সরকারকে এখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও, এই কৌশলী পদক্ষেপ ভারতের পক্ষ থেকে এক বাস্তবধর্মী কূটনৈতিক রূপান্তরের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর ভারত তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং কাবুল থেকে দূতাবাস গুটিয়ে নেয়। তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আফগানিস্তান একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। সেখানে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ও বাণিজ্য পুনরায় শুরু করা আমাদের কৌশলগত প্রয়োজন।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে চীনের আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান প্রভাব। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (BRI) অন্তর্ভুক্ত করতে চীন আফগানিস্তানের সঙ্গে একাধিক চুক্তি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারত চায় না, কাবুল পুরোপুরি বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে চলে যাক।
ভারতীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও মানবিক সহায়তামূলক সংস্থাগুলিও এই সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানে খাদ্য ও ওষুধ পাঠানো, শিক্ষাবিষয়ক সহায়তা ও পুনঃনির্মাণ প্রকল্পে ভারত অংশ নিচ্ছে।
যদিও তালিবান সরকারের স্বীকৃতি এখনো অনিশ্চিত, তবু ভারতের এই ধাপে ধাপে সম্পর্ক পুনর্গঠন আন্তর্জাতিক মহলে একটি কৌশলী বার্তা দিচ্ছে—“আদর্শ নয়, বাস্তবতা মুখ্য।”